• Uncategorized

    পটুয়াখালীর বাউফলে সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুর  প্রতারণার স্বিকার,প্রকৃত জমির মালিক!

      প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২১ , ৯:৫৩:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের কায়না বাজার সংলগ্নে বামনীকাঠী বাজার সংলগ্ন চাবুয়া গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের ,প্রকৃত জমির মালিকপক্ষ ভূমিদস্যুও ত্রাস প্রভাবশালীদের  কতৃক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন অনুসন্ধান ও স্থানীয় সুত্রে যানাযায়,

    অত্র এলাকার মৃত,তাজেম আলী মৃর্ধার পুত্র মো,নাসির মৃর্ধা(৪৫) গংদের সঙ্গে মৃত্যু, কালু রাঢ়ীর পুত্র ফোরকান রাঢ়ী(৫৫) গংদের সাথে বাউফল থানাধীন পশ্চিম কায়না মৌজার জে,এল নং-১০০ এস,এ খতিয়ান ও ৬৮  দাগ নং ২,৩,৪,৫,৬,৭,৮, ১৪৩০ ভাটা ৯২৬ এর ১একর ১৯ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ  চলে আসছে।

    এছাড়াও যানাযায়,১৯৪৫ সনে বৈদ্যনাথ রায়চৌধুরী গংদের নিলাম সম্পত্তি ভূমিদস্যু ত্রাস ফোরকান রাঢ়ী গং নিজেদের পত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করে আসছে। কিন্তুু দেখাযায় নিলাম পরবর্তী রেকর্ডে তাদের কোন নাম নেই। অথচ উল্লেখিত খতিয়ানের জমির প্রকৃত মালিকপক্ষ নাসির মৃর্ধা গংদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, হুমকী, মারধর এবং জোর পূর্বক জমি জবরদখল ও উচ্ছেদের পায়তারার সড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি জমির সিমানা পিলার উপরাইয়া ফেলে ফোরকান গং এর সন্ত্রাসী বাহিনী।

    গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী গভীররাত্রে অতর্কীত হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করে তাতে নাসির মৃর্ধার স্ত্রী ইতিমনি(২৬) রেহেনা বেগম (৪৫) জাহানারা বেগম(৩৮) এ হামলায় গুরুতর  আহত হয়।

    ভূমিদস্যু ফোরকান রাঢ়ীর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় অভিযোগ করা হয় এবং গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারী ২১ ইং তারিখ বগা ফাড়িঁতে  একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় যার ডায়েরী নং৭১৩।জমি সংক্রান্ত বিরোধে অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক বার শালীশ বৈঠকে ভুমিদস্যু সন্ত্রাসী সাবেক মেম্বার ফোরকান রাঢ়ী  গং তাদের সম্পত্তির কোন দালিলিক প্রমান দেখাতে পারেনী।

    উপরে উল্লেখ্য বিষয় পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো,ওবায়দুল আলম এ্যাডভোকেট বিরোধীয় সম্পত্তির দালিলিক পর্যালোচনা করিয়া রেকর্ডীয় মালিকদের পক্ষে লিখিত আকারে মতামত ব্যক্তকরেন। নাম প্রকাশ না করা সর্তে জনৈক এলাকাবাসী জানান,ফোরকান রাঢ়ী গংরা অত্র এলাকার প্রভাবশালী এবং ভুমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। শুধুতাই নয় ভয়ে এদের সামনে অত্র এলাকা বাসী ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন বলে জানান।

    জমি সংক্রান্ত বিরোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক মেম্বার ফোরকান রাঢ়ী দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে বলেন,বিরোধীয় সম্পত্তি আমার পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে তালইর নামে রেকর্ড এবং আমরাই ভোগদখল করতে চাই।

    অন্যদিকে রেকর্ডীয় সম্পত্তির প্রকৃত মালিক নাসির মৃর্ধা গংসহ গণমাধ্যমকে জানায়,আমরা উত্তরাধীকার সুত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক আমরা যার দালিলিক প্রমান রয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসী ভুমিদস্যু ফোরকান রাঢ়ী গংদের রােষানল থেকে রেহাই পেতে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ সহ আইনগত সহায়তা কামনা করছি।

    উক্ত ব্যপারে অত্র এলাকার শালীশদার মুক্তিযোদ্ধা মো,লাল মিয়া মাঝি বলেন,আমরা বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসলে সেখানে সকল কাগজ পত্র পর্যালোচনায় দেখাযায় সি এস,আর এস,এস এতে কোন রেকর্ড নাই ফোরকান গংদের। এমনকি কোন দালিলিক প্রমান পাওয়া  যায়নি তাদের বলে জানান তিনি।

    এবিষয় বগা পুলিশ ফাড়িঁর সাবেক ইনচার্জ মো,মহিবুল্লাহ রহমান এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান, উভয়পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আপোশ মিমাংসার জন্য বসলে ফোরকান রাঢ়ী গং তাদের স্বপক্ষে কোন দালিলিক প্রমান দেখাতে পারেনি বলে জানান।

    এব্যপারে বগা ইউপি চেয়ারম্যান মো,মোতালেব হাওলাদার এর মুঠোফোন(০১৭১১-০৬৯১৯৪) নাম্বারে ফোন করে উপরে উল্লেখিত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি পটুয়াখালী উকিল বারে উভয়পক্ষের এ্যাডভোকেট নিয়ে শালীশ বৈঠকে বসার কথা,এছাড়াও ইুনিয়ন পরিষদে নাসির গংদের অভিযোগ দেয়ার ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন না, না এমনটা নয়, শালীশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা হবে বলেই ফোনালাপ সমাপ্ত করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ