পটুয়াখালীর প্রবীন সাংবাদিক চ্যানেল আই’র জেলা প্রতিনিধি মো.এনায়েতুর রহমানের অন্যায়-অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর আপন ছোট ভাই সাফারী ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের মালিক মো. এরশাদুর রহমান। গতকাল ৭ ই ফেব্রুয়ারী রোজরবিবার বেলা ১২ টার সময় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। এ সময় তাঁর স্ত্রী শিক্ষানবীশ আনইজীবী আয়শা সিদ্দিকাসহ তাঁর দুই শিশু সন্তানও এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে মো.এরশাদুর রহমান বলেন, চ্যানেল আই'র সাংবাদিক মো.এনায়েতুর রহমান আমার আপন বড় ভাই। তাঁর অন্যায়-অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতনের কারণে আমি দীর্ঘ এক যুগ দেশের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হয় তার নিপীড়ন নির্যাতনে। পরবর্তীতে দেশে আসার পরও তাঁর এহেন কর্মকান্ড থেকে থাকেনী। এমনকি এই এনায়েতুর রহমান আমাকেসহ আমার স্ত্রী-সন্তানদেরও প্রাণনাশের হুমকি দেয় প্রতিনিয়ত।
তাঁর ভয়ে সার্বক্ষণিক ভীতিকর অবস্থায় থাকতে হয়, কখন কি ঘটিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁর এই বেপরোয়া জীবন-যাপন ও নিজ মা ও ভাইদেরকে নির্যাতনসহ স্থানীয় প্রতিবেশী, ব্যবসায়ী, পেশাদার সাংবাদিক, সরকারি চাকরিজীবীরাও রেহাই পায়নি তার হাত থেকে । এমনকি তাঁর এই অশোভন আচরণ থেকে রেহাই পায়নি পটুয়াখালীতে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইদ গাজী চেম্বার অব কমার্সের তৎকালীন সভাপতি মো. শফিকুর রহমান (চান মিয়া)সহ বিভিন্ন ব্যক্তির দায়েরকৃত একাধিক চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে এই সাংবাদিক এনায়েতের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, এসব মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাসও করেন তিনি। এমনকি তাঁর স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায়ও দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রীঘড়েও ছিলেন তিনি। সাংবাদিক এনায়েতুর রহমান এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন অনৈতিক কার্যকলাপে। তাঁর এসব অপকর্মের পরও শুধু চ্যানেল আইর সাংবাদিক হওয়ার কারণে প্রতিবারই ধরা ছোয়ার বাইরেই থাকে যান তিনি।
এসময় তিনি আরোও বলেন, এনায়েতুর রহমান তার অপকর্ম ঢাকার জন্য প্রতিনিয়ত বাড়ীর গেট তালাবদ্ধ করে আমাদের চলাফেরার বাধার সৃস্টি করে ও নিজে নিজে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও অচেনা নারীদের নিয়ে নেশার আসর বসায়, কখনো কখনো অতিরিক্ত মদ্ধপান করে মাতাল অবস্থায় নগ্ন হয়ে বাসার চলাচলের রাস্তায় আনন্দ উল্লাস করে নানা অঙ্গ ভঙ্গি করে ভিতিকর পরিবেশের সৃস্টি করার কারণে আমি আমার স্ত্রী সন্তানদেরকে নিয়ে আতংকে দিনাতীপাত করিতেছি প্রতি মুহূর্তে।
আপন ভাইয়ের অনৈতিক কর্মকান্ড তুলে ধরে এরশাদুল বলেন, সাংবাদিক এনায়েত প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মাতাল অবস্থায় তার স্ত্রী সন্তানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে। সংবাদ পেয়ে আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় এসে উদ্ধারের চেস্টা করি।
এ সময় এনায়েত আমাদের উপর অশ্লীল আচরন করেন এবং তার স্ত্রী আমাকে মিথ্যা হয়রানি মূলক সর্বশান্ত করার লক্ষে তার স্বামীর সাথে আমাকে আসামী করে মামলা করে। যেখানে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসত ঘর, সংসার সবই আলাদা সেখানে আমি একজন মাতাল নেশাগ্রস্থ ও লম্পট লোকের সহযোগী হতে পারি না।
আমি আমার ভাই সাংবাদিক মো. এনায়েতুর রহমানের এহোন অন্যায়-অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি এবং তাকে (এনায়েতুর রহমান) চ্যানেল আই থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি । সাংবাদিক মো.এনায়েতুর রহমানের এহেন কর্মকান্ডের জন্য ইতোমধ্যে ২০২০ সালের ১৮ জুলাই পটুয়াখালী প্রেসক্লাব থেকে তাকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়।
এবিষয় নিয়ে মো,এরশাদুল রহমানের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকালে জানতে চাইলে তিনি একাধিক গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে জানান, আমার ভাই হলেও এবার তাকে আমি ছাড়ছিনা অনেক জ্বালা নির্যাতন,জুলুম সহ্য করেছি, সমাজে হেও প্রতিপন্ন হয়েছি অনেক অর্থ আমার লুজার করেছি তার পিছনে আমি এর থেকে পরিত্রান চাই। বাস্তবেই সে নেশাগ্রস্ত এডিক্টেড,মাতাল,মেন্টাল বলে আখ্যায়িত করেন। উপরেউল্লেখিত সার্বিক বিষয়গুলো উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছেন। এবং পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সহ সকল প্রশাসনিক দপ্তরের আইনি সহায়তা কামনা করছেন এই নিড়ীহ পরিবারটি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.