মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় অসহায় হতদরিদ্র মানবেতার জীবন যাপন করছে ৩ সন্তানের জননী জোসনা বেগম (৪২ তার কান্না আজও থামেনি। জোসনা বেগম হচ্ছেন উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা গ্রামের মো. রফিক হাওলাদারের স্ত্রী। অভাবের তাড়নায় গ্রাম থেকে শহরে এসে মানুষের বাসায় বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে জোসনা বেগম।
জোসনা বেগম জানান, আমার স্বামী মো. রফিক হাওলাদার মটর সাইকেল ড্রাইভার ছিলেন। গত ২ বছর আগে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। এখন তিনি ঘরেই পরে আছেন। কোন কাজ করতে পারেন না। আমার ৩ টি সন্তান। বড় ছেলে ইমরান ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালেখা করছে। মেঝ ছেলে মো. ইমন গলাচিপা সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে।
ছোট মেয়ে ইভা আক্তার মোন্তাহার বয়স পাঁচ বছর। আমার স্বামীর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করছি। গলাচিপা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে পরে আছি। যেখানে সামান্য বৃষ্টির পানি পড়তেই ঘরে প্রবেশ করে। এ যেন দেখার কেউ নাই।
এখন মনে হচ্ছে আমার ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব না। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি আরও বলেন, আমি শুনেছি অসহায় ও গরীবের জন্য প্রধানমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষে স্থানীয় সাংসদ সদস্যের মাধ্যমে গৃহহীন মানুষকে একটি করে বসত ঘর দিচ্ছেন।
আমাকেও যদি একটি ঘর দেওয়া হয় তাহলে আমার পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারতাম। গলাচিপা উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ হাসান কোচিন বলেন, জোসনা বেগম ও তার পরিবার একটি অসহায় পরিবার। সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
গলাচিপা পৌরসভাধীন একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে দির্ঘদীন যাবৎ বসবাস করতেছেন। বাস্তব চিএ সরেজমিন ঘুড়ে দেখা যায় আসলেই তার কেই নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মিঠু তালুকদার এব্যপারে বলেন, আসলেই এরা অত্যন্ত গরীব ও অসহায় মানুষ।
অভাবের সংসারে শহরে গিয়ে মানুষের বাড়িতে গিয়ে ঝিঁ-এর কাজ করছে জোসনা বেগম। ডাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদল খান বলেন, এই পরিবারটি আমার নির্বাচনী এলাকার তারা অত্যন্ত গরীব তাদের একটি বসত ঘরের খুব প্রয়োজন,বিষয়টি আমি আমি দেখব বলে জানান তিনি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.