• Uncategorized

    পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভবঘুরে  নুরজাহান বেগমের কান্না থামেনি আজও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। 

      প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২০ , ৪:০৩:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নলুয়াবাগী গ্রামের কাসেম আপ্তার হাওলাদারের মেয়ে নুরজাহান বেগম (৭০) কান্না থামেনি আজও। নুরজাহান বেগম বিচারের আশায় গলাচিপা পৌরসভার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। নুরজাহান বেগম জানান, বাবার মৃত্যুর পরে বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি প্রভাবশালীরা ভোগ করে খাচ্ছে। তিনি আরও জানান, এক রাতেই আমার বাবার জায়গায় প্রভাবশালীরা জোর করে ২৫টি দোকান ঘর তুলে। এ নিয়ে তিনি প্রশাসন মহলে একাধিকবার আসলেও কোন সুরহা পাননি বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নুরজাহান বেগম। সোমবার বেলা ১টায় হাইস্কুল রোডে মেয়ের ঘরের নাতনী ফাতেমা (৮)কে নিয়ে ঘুরতে থাকেন বিচারের আশায়। এ বিষয়ে ফাতেমা জানান, নানির সাথে খুব সকালে না খেয়ে বাড়ি থেকে শহরে এসে এখনও ঘুরতেছি। নানি কোথায় যাবে, কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাবে তা নিজেও জানি না। নুরজাহান বেগমের মেয়ে পলাশী বেগম (৩৫) জানান, আমার নানা আপ্তার হাওলাদারের সম্পত্তি প্রভাবশালীরা ভোগ করে খাচ্ছে। পুরুষ মানুষ না থাকায় প্রভাবশালীরা এর সুযোগ গ্রহণ করছে। আমরা এখন অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছি। প্রভাবশালীদের চাপে আমাদের কথা কেউ শুনতে চায় না। নুরজাহান বেগমের ছোট মেয়ে এলিজা বেগম (৩০) জানান, ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছি। কখন যে মাকে হারাই তা বলতে পারছি না। বিবাহের পরে স্বামীকেও হারিয়েছি। সেই ঘরে আমার ১টি কন্য সন্তান তুলি আক্তার (১৩) গাজীপুর মাদ্রাসায় দাখিল ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। বাবা এবং স্বামীকে হারানোর পরে মায়ের সাথে মেয়েকে নিয়ে একই সংসারে আছি। দুজনার জীবন চালাতে আমার হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফজরের আযানের পরে ঘুম থেকে উঠে পুরুষের মত জাল কাধে নিয়ে আসি নদীর পাড়ে। মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবন চালাতে হচ্ছে আমার। নানার এত সম্পত্তি থাকা সত্বেও আজ ভিক্ষা করে খেতে হচ্ছে আমাদের। রবিবার এক রাতেই নানার সম্পত্তিতে ২৫টি ঘর উঠিয়েছে প্রভাবশালীরা। এ যেন দেখার কেউ নাই। আমি প্রশাসন মহলে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আমরা গরিব মানুষ। আমাদেরকে আপনারা বাচান। এ বলে এলিজা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এ বিষয় নিয়ে নুরজাহান বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী চন্দনা বেগম বলেন, আমাদের সংসারে পুরুষ না থাকায় এবং আমাদের অর্থ না থাকায় কোথাও গিয়ে বিচার পাচ্ছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য পটুয়াখালী-৩, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী র‌্যাব-৮, গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গলাচিপা থানা, গলাচিপা উপজেলা আওয়ামীলীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা একটু আমাদের দিকে তাকান। না হয় আমাদের মরে যেতে হবে। এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, আপ্তার হাওলাদারের নামে নলুয়াবাগীতে ব্যাপক জমাজমি আছে। কিন্তু খাচ্ছে প্রভাবশালীরা। নুরজাহান বেগমের মেয়েদের আর্থিক না থাকায় কোন বিচার পাচ্ছে না। শুনেছি এক রাতেই প্রভাবশালীরা ২৫টি দোকান ঘর উত্তোলন করে আপ্তার হাওলাদারের রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি।টুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নলুয়াবাগী গ্রামের কাসেম আপ্তার হাওলাদারের মেয়ে নুরজাহান বেগম (৭০) কান্না থামেনি আজও। নুরজাহান বেগম বিচারের আশায় গলাচিপা পৌরসভার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। নুরজাহান বেগম জানান, বাবার মৃত্যুর পরে বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি প্রভাবশালীরা ভোগ করে খাচ্ছে।

    তিনি আরও জানান, এক রাতেই আমার বাবার জায়গায় প্রভাবশালীরা জোর করে ২৫টি দোকান ঘর তুলে। এ নিয়ে তিনি প্রশাসন মহলে একাধিকবার আসলেও কোন সুরহা পাননি বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নুরজাহান বেগম। সোমবার বেলা ১টায় হাইস্কুল রোডে মেয়ের ঘরের নাতনী ফাতেমা (৮)কে নিয়ে ঘুরতে থাকেন বিচারের আশায়।

    এ বিষয়ে ফাতেমা জানান, নানির সাথে খুব সকালে না খেয়ে বাড়ি থেকে শহরে এসে এখনও ঘুরতেছি। নানি কোথায় যাবে, কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাবে তা নিজেও জানি না। নুরজাহান বেগমের মেয়ে পলাশী বেগম (৩৫) জানান, আমার নানা আপ্তার হাওলাদারের সম্পত্তি প্রভাবশালীরা ভোগ করে খাচ্ছে। পুরুষ মানুষ না থাকায় প্রভাবশালীরা এর সুযোগ গ্রহণ করছে। আমরা এখন অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছি।

    প্রভাবশালীদের চাপে আমাদের কথা কেউ শুনতে চায় না। নুরজাহান বেগমের ছোট মেয়ে এলিজা বেগম (৩০) জানান, ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছি। কখন যে মাকে হারাই তা বলতে পারছি না। বিবাহের পরে স্বামীকেও হারিয়েছি। সেই ঘরে আমার ১টি কন্য সন্তান তুলি আক্তার (১৩) গাজীপুর মাদ্রাসায় দাখিল ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। বাবা এবং স্বামীকে হারানোর পরে মায়ের সাথে মেয়েকে নিয়ে একই সংসারে আছি।

    দুজনার জীবন চালাতে আমার হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফজরের আযানের পরে ঘুম থেকে উঠে পুরুষের মত জাল কাধে নিয়ে আসি নদীর পাড়ে। মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবন চালাতে হচ্ছে আমার। নানার এত সম্পত্তি থাকা সত্বেও আজ ভিক্ষা করে খেতে হচ্ছে আমাদের। রবিবার এক রাতেই নানার সম্পত্তিতে ২৫টি ঘর উঠিয়েছে প্রভাবশালীরা।

    এ যেন দেখার কেউ নাই। আমি প্রশাসন মহলে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আমরা গরিব মানুষ। আমাদেরকে আপনারা বাচান। এ বলে এলিজা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এ বিষয় নিয়ে নুরজাহান বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী চন্দনা বেগম বলেন, আমাদের সংসারে পুরুষ না থাকায় এবং আমাদের অর্থ না থাকায় কোথাও গিয়ে বিচার পাচ্ছি না।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য পটুয়াখালী-৩, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী র‌্যাব-৮, গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গলাচিপা থানা, গলাচিপা উপজেলা আওয়ামীলীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা একটু আমাদের দিকে তাকান। না হয় আমাদের মরে যেতে হবে। এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, আপ্তার হাওলাদারের নামে নলুয়াবাগীতে ব্যাপক জমাজমি আছে। কিন্তু খাচ্ছে প্রভাবশালীরা।

    নুরজাহান বেগমের মেয়েদের আর্থিক না থাকায় কোন বিচার পাচ্ছে না। শুনেছি এক রাতেই প্রভাবশালীরা ২৫টি দোকান ঘর উত্তোলন করে আপ্তার হাওলাদারের রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ