• Uncategorized

    পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রেমের দাবীতে,ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশন-দৈনিক অালোকিত ৭১ সংবাদ

      প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২০ , ৮:২৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা  প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায়  বিয়ের দাবী নিয়ে ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশনের ঘটনা ঘটছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চর কপালবেড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডে।

    এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। জানা গেছে, উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চর কপালবেড়া গ্রামের সাহেব আলী পাঠানের পুত্র মো, ইউসুফ আলী পাঠান (২৩) এর সাথে একই গ্রামের মান্নান মৃধার কন্যা ডালিয়া আক্তার (১৮)পূর্বেে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

    এক পর্যায় ইউসুফ আলী পাঠান ডালিয়া আক্তারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে আসছে। আজ-কাল বিয়ে করবে বলে প্রতারনা করে সময় ক্ষেপন করে আসছে প্রেমিক ইউসুফ আলী পাঠান। ইউসুফের প্রতারনা বুঝতে পেরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকা ডালিয়া আকতার অবশেষে প্রেমিকের বাড়ীতে গত বুধবার সকাল থেকে অনশন করে আসছে বলে জানা যায়। 

    এ বিষয়ে অনশনকারী প্রেমিকা ডালিয়া আকতার বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার বাবা একজন কৃষক। আমি ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরি করতাম। করোনা ভাইরাসের লক ডাউনের শুরু থেকে আমি আমার গ্রামের বাড়ি চলে আসি। বাড়ি আসার পর থেকে আমার মোবাইল নম্বর ইউসুফ আলী পাঠান সংগ্রহ করে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এতপর আমার বাড়ির গাছের সাথে গলায় দড়ি দিবে বলে আমাকে মানসিকভাবে ব্লাক মেইল করে। পরে সে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে।

    উক্তবিষয়ে ডালিয়া আকতারের বাবা মন্নান মৃধা কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার চার মেয়ে। কোন ছেলে নাই। ঘরে আমার স্ত্রী ব্রেন অপারেশনের পর অসুস্থ অবস্থায় এক বছর পর্যন্ত ঘরে আছে। ডালিয়া আমার ২য় মেয়ে। বুধবার থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত সাহেব আলী পাঠানের পুত্র ইউসুফ আলী পাঠানের বাড়ি গিয়ে উঠেছিল। চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

    আমি একজন গরিব মানুষ কি করব এখন ভেবে পাচ্ছি না। ইউসুফ আলী পাঠানের বাবা সাহেব আলী পাঠান বলেন, আমার ছেলে যদি দোষী হয় আমি দোষ মেনে নেব। চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে ছেলেকে আমার হাতে দিয়েছে। বুধবার দু’পক্ষকে ডেকে ৬ জন গন্যমান্য ব্যক্তিকে সালিশি মানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেন তা আমি মেনে নেব।

     

    এবিষয় ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। চরকাজল ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা বলেন, বিষয়টি শুনে চৌকিদার পাঠিয়ে দু’পক্ষের ছেলে মেয়েসহ ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে এবং দু’পক্ষের সাথে এলাকার ৬ জন সালিশদার মনোনয়োন করে দেওয়া হয়ে। এবং তারা থেকে যেভাবে ভাল হয় সেভাবে করবেন। এমনটাই জানান তিনি।

    এ বিষয়ে গলাচিপা থানার এসআই নজরুল রাঢ়ী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলে জানাযায়।তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ