• Uncategorized

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হাতেলিখে পত্রিকা প্রকাশে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন।

      প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ১:০৬:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর ধারে উপকূলের সেই প্রত্যন্ত এলাকায় বসে হাতে লিখে বানানো পত্রিকার মাধ্যমে সমাজে আলো ফেলার চেষ্টা করছে হাসান পারভেজ।

    পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর তীরে উপকূলের সেই প্রত্যন্ত এলাকায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা। অপরূপ সৌন্দর্য ঘেরা এই পশ্চিম সোনাতলা গ্রাম। খেপুপাড়া শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এই পশ্চিম সোনাতলা গ্রাম অবস্হিত।

    প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে পরিবতন দেশের প্রিন্ট মিডিয়া চলছে সাদা কালো আর রঙ্গীন পত্রিকার মাঝেটিকে থাকার লড়াই, এতকিছুর মাঝেও জায়গা করে নিচ্ছে বহু পুরাতন পদ্ধতি হাতে লেখা পত্রিকা। এক এক জনের জীবনের বেচে থাকার গল্প এক এক ধরনের কারোটা রঙ্গীন আবার কারোটা সাদা কালো। আমরাতুলে ধরেছি সেই প্রত্যন্ত গ্রামের সহজ সরল মেধাবী দিনমজুর আলোর ফেরিওয়ালা হাসান পারভেজেরজীবনের গল্প।

    পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর ধারে উপকূলের সেই প্রত্যন্ত এলাকায় বসে হাতে লিখে বানানোর মাধ্যমে পত্রিকার মাধ্যমে সমাজে আলো ফেলার চেষ্টা করছেন হাসান পারভেজ। তার পত্রিকা রনাম দিয়েছে‘‘আন্ধারমানিক’’ আঁধারে মাণিক্যের সন্ধান।পত্রিকাটি উপকূলীয় কমিউনিটি পত্রিকা।

    জানাযায় তিনি, তিন বেলা খাবারের যোগাড়ের জন্য যার শ্রম বিক্রি করতে হয়, কখনো মাছ ধরা, কখনো মাটিকাটা ,কখনো বাইট ভাটার শ্রমিকেরকাজ।নিজে হাতে লিখে ফটোকপি করে,এরপর বাড়ির উঠোনে বসেপত্রিকার কভার লাগায়,রোদেশুকোয়।তারপর পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয় তিনি নিজেই। নিজে না খেয়ে থাকলেও গ্রামের বহুমানুষের কল্যাণে নানান কাজ করে চলেছে এই নিখুঁত শিল্পি হাসান।

    হাসানের পত্রিকা আন্ধারমানিকে ছোট্টরুবিনাকে নিয়ে তার লেখা কবিতা সাড়াফেলে ছেদেশজুড়ে। গ্রামের কারঘরে চালবনেই,কে না খেয়ে আছে এজন্য মাথাব্যথা হাসানের।
    বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গেলে দেখাযায়, গ্রামের অনেকেই ঘড় পায়নি তাদের পাশে দাড়িয়ে ঘর পাইয়েদেও য়ার চেষ্টা, কারও জন্য একখানা ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার জন্য ধরনাদেওয়া, কারও বাড়িতে দশকেজি চাউল পৌঁছেদেওয়ার চেষ্টাসহ অনেক সেবামুলক কাজ করেন হাসান।

    উজ্জ্বল নক্ষত্র আলোর ফেরিওয়ালা হাসান পারভেজ জানান, আমি একজন দিনমজুর।আমি সহজ সরল মানুষ খেটে খাওয়া মানুষদিন আনি দিন খাই যখন যে কাজ পাই সেই কাজ করে সংসার চালাই। আমার ইচ্ছা ছিল উচ্চশিক্ষিতচওয়ার কিন্তু আর্থিক সংকটের কারনে ভালকরে পড়াশুনা করতে পারিনি খুব কষ্ট করে।

    আইয়ে পাশকরছি এখন আমার একটাই স্বপ্ন ডিগ্রীটা পাশ করা।আমার একটাই স্বপ্ন একটা কম্পিউটার একটাপ্রিন্টার মেশিন একটি ভাল মোবাইল সেট কেনার ইচ্ছা কিন্তু টাকার অভাবে কিনতে পারছি না।এই৩টি জিনিস থাকলে আমার পত্রিকায় কাজ করা সহজ হবে।দেশের মানুষের জন্য ভাল কিছু লিখতেপারব সমাজের জন্য ভাল কিছু করতে পারব।

    আমার পত্রিকায় আন্ধারমানিকে প্রথম ছোট্র রুবিনাকেনিয়ে কবিতা প্রকাশ হয়,রুবিনার জীবন পাল্টে যায়। আন্ধারমানিকপত্রিকার ধারণা ও পরিকল্পনা রফিকুল ইসলাম মন্টু জানান, ওর সঙ্গে প্রথমদেখা সম্ভবত ২০১৬সালে।নিতান্তই কাজেরপ্রয়োজনে ওরবাড়িতে যাওয়া। তখনই আমিওর ভেতরে আলোদেখেছি।হাসান গল্প লিখে,কবিতা লিখে। খাতায় লেখাঅনেক কবিতা দেখালোআমাকে।খুব ভালো লেগেছিল।

    আসলেকোথায় কী রত্নপড়ে আছে, আমরাজানিনা।হাসান যে একটারত্ন, সেটা আমরাআগে ভাবিনি। পরে দেখলামনিজেই তার প্রতিভারপ্রমাণ দেখালো। অবিশ্বাস্য একটাঘটনা ঘটিয়ে ফেললো;হাতে লিখে বেরকরলো পত্রিকা। সাড়া ফেললপত্রিকাটি৷ যদিওতার এই পত্রিকাপ্রকাশের পেছনেপটুয়াখালী, কলাপাড়াএবং কুয়াকাটার সাংবাদিকবন্ধুগণের অনেকবড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের সহযোগিতা নাথাকলে হয়তো হাসানএতদূর আসতে পারতোনা।

    জানিনা, হয়তো এইএলাকার কোন সাংবাদিকবন্ধু ইত্যাদি টিমকেখবরটি জানিয়েছে বলেইআজ হাসান ওইঅবধি পৌঁছাতে পেরেছে। আসলেকোনএকটাভালোকাজআশাপাশের মানুষদের সহযোগিতা ছাড়াএগোতেপারেনা।হাসানের মতএমনপ্রতিভা আরওআছেপ্রত্যন্ত এলাকায়। সেগুলোতুলেআনাখুবইজরুরীবলে মনে করেন তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ