• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে যৌতুকের দায়ে স্ত্রীকে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

      প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:৫৯:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মু,হেলাল আহম্মেদ (রিপন)পটুয়াখালী জেলা  প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর গলাচিপায় যৌতুকের দায়ে স্ত্রী নাজমীন বেগম (২০) কে মারধর করেছে পাষান্ড স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গলাচিপা সদর ইউয়নের কালিকাপুর মাটিভাংগা গ্রামে। নাজমীন বেগম হচ্ছেন গোলখালী ইউনিয়নের চর হরিদেবপুর গ্রামের আশ্রাফ হাওলাদারের মেয়ে। স্বামী সাইফুল গাজী হচ্ছেন গলাচিপা সদর ইউনিয়নের মাটিভাংগা গ্রামের ছত্তার গাজীর ছেলে। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক প্রায় ১৮ মাস পূর্বে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে দুই লক্ষ টাকা মহরানা ধার্য্য করে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

    কিন্তু বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নাজমীন বেগমের জীবনে নেমে আসে কালো মেঘ। শনিবার সকাল অনুমানিক ১০ টার দিকে পাষান্ড স্বামী সাইফুল গাজী নিজ বাড়িতে যৌতুকের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চরাও হয়ে স্ত্রীকে মারধর করে। এলাকাবাসী উদ্ধার করে নাজমীন বেগমকে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নাজবীন বেগম এর শরীরে কালো কালো দাগ আছে আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ৫নং বেডে ভর্তি আছে। এ বিষয় নাজবীন বেগম বলেন, বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই আমাকে যৌতুকের দায়ে আমার স্বামী প্রায়ই মারধর করে।

    আমার বাবার বাড়ি থেকে এ পর্যন্ত আমি আমার স্বামীকে ১ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি কিন্তু আমার স্বামী ভাল হয় না। এমনকি সে আমার ব্যবহৃত কানের, গলার এবং হাতের জিনিস খুলে নিয়ে স্বর্ণকারের দোকানে বিক্রি করে দিয়েছে। এ কথা বলে নাজমীন বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এ বিষয় নিয়ে নাজবীন বেগম এর বাবা আশ্রাফ হাওলাদার বলেন, আমার মেয়েকে ও প্রায়ই মারধর করে। আমি অনেক সহ্য করেছি এখন আমি আইনের আশ্রায় নেব। এ বিষয় নিয়ে নাজবীন বেগম এর মা মিনারা বেগম বলেন, বিবাহের এক বছর পার হয়ে হলেও আমার বেগম নাজমীন বেগম স্বামীর কাছে কোন শান্তি পায় নাই। আমার মেয়েকে মারধর করে অনেক অসুস্থ করেছে। ওই এলাকার লোকজন আমাকে ফোন দেওয়ায় আমি হাসপাতালে এসে আমার মেয়েকে দেখেতে পাই। এ কষ্ট আমি কোথায় রাখব। এ বিষয়ে নাজমীন বেগম এর স্বামী সাইফুল গাজীর মুঠোফোনে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি সদস্য মোসলেম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলেই মেয়েটি অসহায় এবং পরিবারটি গরিব। গোলখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি দুপক্ষকে ডেকে মিমাংসার ব্যবস্থা করব। এ বিষয় নিয়ে নাজমীন বেগমের মা কোন উপায় না পেয়ে টাকা পয়সা না থাকায় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে রবিবার লিখিত অভিযোগ করেন, এমনটাই জানাযায়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ