• ক্যাম্পাস

    পটুয়াখালীতে অসহায় মানুষের চিকিৎসা দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে এমবিবিএস যমজ দুই ভাই

      প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১:৩৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর-রশিদ ও মোসাম্মৎ কামরুন নাহার এর যমজ দুই সন্তান
    এমবিবিএস ডাক্তার মোহাম্মদ আলী (২৬) ও শওকত আলী (২৬) অসহায় মানুষের চিকিৎসা দিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

    এব্যপারে যমজ দুই সন্তানের গর্বিত পিতা মাতা বলেন, শত পরিশ্রমের স্বপ্ন পূরনের দিন আজ। তাদের দুজন’কে সুশিক্ষিত করতে আমাদের অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে।

    এই পথটা এতোটা মশৃন ছিলো না। গ্রামের শিক্ষক পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ আলী ও শওকত আলী জানায়, মা-বাবার শত কষ্ট অক্লান্ত পরিশ্রম ও সংগ্রামের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি ঝড়ে ।দুই ভাই পঞ্চম শ্রেনীতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ এবং ট্যালেন্টফুল বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হই আমরা দুজন । দিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ইং সালে পূনরায় ৮ম শ্রেনীতে গোল্ডেন জিপিএ- ৫
    পেয়ে বৃত্তি অর্জন করি। এবং বাউফল মদনপুরা সোনামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সুনামের সাথে এসএসসি গোল্ডেন ৫ নিয়ে কৃতকার্য হই।
    এবং ২০১৫ ইং সালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ২০১৬-১৭ ইং শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হই। দির্ঘ সময় অধ্যায়ন করে গত ২০২২ ইং সালে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, বিভাগ নিয়ে আমরা দু’জন এমবিবিএস পরিক্ষায় কৃতকার্য হই। বাবা-মায়ের মুখের হাসি ফোঁটাতে অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের স্বাস্থ্যসেবায়
    নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে চাই।

    এলাকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো বলেন,
    সুখের তরী মুখে শুনেছি ভাগ্যে কোনদিন জুটেনা এমন দৃষ্টান্তোর দেখা মেলে বাউফল উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে। তার বাবা সততার সাথে চাকুরী করে অল্প বেতন নিয়ে কিভাবে তাদের মানুষ করেছে আমরা দেখেছি। আমরা এলাকাবাসী যমজ দুই ভাইয়ের জন্য দোয়া করি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ