• আইন ও আদালত

    নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা : প্রধানমন্ত্রী

      প্রতিনিধি ২১ ডিসেম্বর ২০২১ , ৯:৫৫:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্ক :

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত জাহাজ, যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সোমবার সকালে নৌবাহিনীর ‘মিডশিপম্যান ২০১৯ আলফা’ এবং ‘ডিইও ২০২১ ব্রাভো’ ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

    গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির মূল অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পাসিং আউট ক্যাডেটদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ তিনি প্রত্যক্ষ করেন। কুচকাওয়াজ থেকে তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজগুলোকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধা সংবলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলছে।

    এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর অপারেশনাল ও যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’র নির্মাণকাজ অনেকদূর এগিয়েছে।

    তিনি বলেন, নতুন নতুন জাহাজ এবং সমরাস্ত্র সংযোজনের পাশাপাশি এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নৌবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি এবং সময়োপযোগী করার ক্ষেত্রেও সরকার কাজ করছে।

    এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ঢাকার পদনাম পরিবর্তন করে ‘কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল’ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে পদবি কমডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরালে উন্নীত করা হয়েছে।

    এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ঢাকার পদনাম পরিবর্তন করে ‘কমান্ডার ঢাকা নৌ অঞ্চল’ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে পদবি কমডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরালে উন্নীত করা হয়েছে।

    নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের বিস্তারিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জার্মানি থেকে আনা একটি নতুন এমপিএ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে। অপরটি ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনী আজ শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসাবে মর্যাদা লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ সব ক্ষেত্রে তাদের আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠা দেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তার লক্ষ্য ও আদর্শ ছিল, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছি।

    আমাদের সরকারের আমলে দেশের আর্থসামাজিক খাতে যেমন উন্নয়ন হচ্ছে, ঠিক তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে যাচ্ছি।

    এছাড়া আমরা বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অবদান রেখে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, মিয়ানমারের নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরও তার সরকার আশ্রয় দিয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি একটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি-যত কষ্ট, আঘাত, বাধা আসুক না কেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। দারিদ্র্য ও মঙ্গা বলতে দেশে কিছু থাকবে না।
    শেখ হাসিনা বলেন, আমি একটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি-যত কষ্ট, আঘাত, বাধা আসুক না কেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। দারিদ্র্য ও মঙ্গা বলতে দেশে কিছু থাকবে না।

    দেশের প্রত্যেক মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং উন্নত জীবন পাবে। সেটাই আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য স্থির রেখেই আমার পথচলা। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। ইনশাআল্লাহ, একদিন উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ আল মেহরি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলমকে ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০’-এ ভূষিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ