মেমরাজ বিবি শেষ বয়সে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বসবাস অন্যের জায়গায় ,ছোট একটি একচালা ঘরে । তাও আবার দুর্বিসহ অবস্থা। তবুও নিরুপায় হয়ে সেখাইনেই বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।
রোগা শরীর নিয়ে কোনমতে একবেলা রাঁধেন, তিন বেলা খান। প্রায় বেলাতেই পান্তা ভাত আর পোড়া মরিচ জোটে কপালে। কখনো কখনো না খেয়েও দিন পার করতে হচ্ছে।
মানবেতর জীবন যাপনের এই গল্প ভুমিহীন,পঙ্গু ৭০ বছরের বৃদ্ধা মেমরাজ বিবির। তিনি মাধপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেলঘর গ্রামে বসবাস করেন। কিন্তু সেখানে তার ভিটেবাড়ি কিছুই নেই। নিকটত্মীয় বলতে ভাই ছাড়া কেউই নেই তার।কিন্তু কে রাখে কার খবর। তাই তাকে দেখবার মত কেউই নেই এখন। বয়সের ভাড়ে হাটাচলা মেমরাজের পক্ষে কষ্ট কর। এভাবেই কষ্টে দিন পার করছেন ভুমিহীন বৃদ্ধা মেমরাজ বিবি। সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে,বেলঘর গ্রামে ছয় হাত দৈর্ঘ্য আর পাঁচ হাত পস্থের একটি ছোট ঘরে বাস করছেন বৃদ্ধা মেমরাজ বিবি । সেখানে এলোমেলো পুরনো কাপড়-চোপড়।
এককোনে চুলা, আর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাড়ি-পাতিল। এসব নিয়েই তার একাকি সংসার। কষ্টের জীবনের কথা জানতে চাইলে অশ্রুভেজা চোখে মেমরাজ বিবি বলেন, ‘বাবারে খুব কষ্ট করি। ভাইয়ের জায়গায় একটা একচালা ঘরে থাকি,এই শীতের রাইতে (রাতে) বাতাসে গাও, আত (হাঁত) ও পাও ঠান্ডা ওইয়া যায়। থড়থড় কইর্যা কাঁপি।
অসুখবিসুখ লইয়া বাড়ি বাড়ি যাইতে পারি না।টেকার অভাবে ওষুধ (ঔষধ) কিনতে পারি না। এই জীবন আর ভাল লাগে নারে বাবা।একটা সরকারি ঘর যদি পাইতাম হেই ঘরে শান্তি তে মরতে পারতাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাইয়ের সহানুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে মেমরাজ কে।১৫ বছর ধরে ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয়ে ছিলেন মেমরাজ। কিন্ত নানা কারণে এখন আর ঠাঁই হচ্ছে না সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দা আলী মিয়া বলেন, ‘আসলেই মেমরাজ বিবির কোন জায়গা নেই।তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি মেমরাজ বিবি কে যেন জায়গা সহ একটা ঘর উপহার দেওয়া হয়।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.