পাবনা প্রতিনিধি:
নার্সিং প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজের অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, খাঁন মোঃ গোলাম মোরশেদ। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি কাউন্সিল এর নীতি নির্ধারণী ও নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় প্রায় অর্ধশতাধিক নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজের পরিদর্শন হয়েছে যা নীতিমালা অনুসরণ করা হয় নাই।
নার্সিং কাউন্সিল ও উদ্যোক্তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে যে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জোরালো তদবিরের নেগেটিভ তদন্ত কে পজেটিভ করা হয়েছে।এ সকল কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব (চিশিজ) সাখাওয়াত হোসেন মহাদয় উল্লেখযোগ্য। উদ্যোক্তাগণ সাখাওয়াত সাহেব কে পাঁচ লাখ টাকা ও রেজিস্ট্রার দুই লাখ টাকা এবং পরির্দশনের জন্য কর্মকর্তাদের ১ লাখ টাকা করে উৎকোচের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেন। বিষয়টি প্রচলিত যে, পূর্বে এ বাজেটের পরির্দশন ছিল সর্বমোট পাঁচ লাখ টাকা।
বর্তমান সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা) মহোদয় মোঃ আলী নুর সাহেব এর ৪ জানুয়ারি ২০২২ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে এবং রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম এর চুক্তির মেয়াদ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ শেষ হবে।এই সংবাদ সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় নার্সিং কাউন্সিল ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাখাওয়াত সাহেবের দপ্তরে তদবির, ঘুষের বাণিজ্য ও ভিড় পরিলক্ষিত হয়। নার্সিং কাউন্সিল এর একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলায় তিনি জানান যে,গত এক বছরে আমাকে কোন প্রতিষ্ঠানে পরির্দশনে পাঠানো হয়নি।
রেজিস্টার নিজেই সকল পরির্দশনে যান। এমনকি পরির্দশন চিঠিতে আমার নাম থাকা সত্ত্বেও রেজিস্ট্রার নিজেই পরির্দশনে যান। জানা গেছে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণ কখনো কখনো নার্সিং কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহন করে থাকেন। উল্লেখ্য থাকে যে, বাংলাদেশ বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট এন্ড কলেজ ওনার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি আবু হাসনাত মোহাম্মদ ইয়াহিয়া ও মহাসচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি কাউন্সিল প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের নার্সিং ইনস্টিটিউট অনুমোদন করিয়ে দিচ্ছে।
আমি আবেদন কারি নার্সিং ইনস্টিটিউট সস্প্রসারণের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু গুনগত ও মানসম্পন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউট না হলে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স তৈরি হবে না।দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমান যে সকল নার্সিং ইনস্টিটিউট অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে সেগুলো গুনগত ও মানসম্পন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউট এর সকল মানদন্ড সাপোর্ট করে না। বর্তমান সচিব সহোদয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার দায়িত্ব শীল প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা নেওয়া হয়।যাহা এখন ও চলমান। এখানে উল্লেখ্য যে,২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখের মিটিং কে কেন্দ্র করে প্রায় দুই কোটি টাকার বাণিজ্য হবে জোর গুঞ্জন আছে। নার্সিং ইনস্টিটিউট সহ নার্সিং খাত কে বাঁচাবার লক্ষ্যে অবশ্যই ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে মিটিং বাতিল করে পূনরায় পরির্দশন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের জোর সুপারিশ জানানো হয়েছে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.