• Uncategorized

    নারীকে অনুমানভিত্তিক কলঙ্কিত উপাধি দেওয়ার চেষ্টাকারীরা পথভ্রষ্ট মাহাপাপী-মুনিয়ার আত্মহত্যা বা হত্যা। 

      প্রতিনিধি ৫ মে ২০২১ , ৫:২২:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্ক:

    নিজের চোখে না দেখে, শুনে বলাও পাপ। ক্ষমতা, অর্থ ও সুবিধা নিয়ে কেউ কেউ অপরাধীকে নিরাপরাধ বানাতে চেষ্টা করি আবার কেউ কেউ কোন গোষ্ঠী কিংবা পছন্দনীয় কোন নেতা কিংবা সমাজপতি অন্যায় করলেও আবেগের তাড়নায় সঠিকপথে না থেকে ক্ষমতাশালী ও বিত্তবানদের নিচ্ছক খুশি করার মানসে মানবতাকে ভুলুন্ঠিত করে তার পক্ষাবলম্বন করার জন্য অনৈতিক প্রতিযোগিতায় নেমে পরি অর্থাৎ আমার সমথর্নকারী ব্যাক্তি বা নেতা ফেরেস্তা তাহারা কোন অন্যায় করতে পারেন না।

    এই যখন অধিকাংশেরই মনোভাব সেই দেশে নারীকে বেশ্যা এবং বেশ্যাকে সতীসাধ্বী বানানোর চেষ্টা দেখে কষ্ট পাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
    অভিজাত এলাকা গুলশান ফ্লাটে শিল্পপতি ও শিল্পপতির আদরের দুলাল ধনকুব জনাব আনভীরের সান্নিধ্যে থাকা মুনিয়ার আত্মহত্যা অভিযোগ হয়েছে। এই হত্যা বা আত্মহত্যা নিয়ে আমরা সবাই বিচারক বনে গিয়েছি কিন্তু আমরা ভুলে গিয়েছি।

    যে জনসাধারণের আন্দোলন বা সোচ্চার হওয়ার ছাড়া প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করার বাস্তবতা। আমরা কেন চিন্তা করিনা? আমরা কেন ভুলে গেছি? এই মেয়েটি আমাদের কারোর না কারোর মেয়ে, বোন বা আত্বীয়। আজকে যদি এই রকম একটি অভিযোগ আপনার, আমার বা আমাদের সাধারন কোন মানুষের বিপক্ষে হইতো তাহলে তো অভিযোগ পাওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করা হইতো ।

    আমরা একটি মেয়েকে বা নারীকে ভোগের দৃষ্টিকোন থেকে অধিকাংশ ই মূল্যায়ন করে অভ্যস্ত বিধায় আমাদের রুচিবোধ নষ্ট করে ফেলেছি। অধিকাংশেরই বিবেচনায় নিচ্ছিনা কেন? এই মেয়েরা কখনো সন্তান, কখনো কারোর বউ, আবার কখনো পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাশীল” মা ” উপাধি লাভ করে। হয়তো কোন একটি স্তরে গিয়ে অমানুষের প্ররোচণায় অর্থের লোভে এই বয়সে সিলেকশনে ভুল করতে পারে।

    আমার বিশ্বাস এই মেয়েটি যদি অর্থের লোভে সম্পক করে থাকে তাহলে সে আত্বহত্যা করবে না আর যদি আত্মহত্যা করে তাহলে সে আনভীরকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিল।সুতরাং আত্মহত্যা করলেও আনভীর সাহেব অপরাধী বা হত্যা হলেও আনভীর সাহেবসহ একাধিক ব্যাক্তি অপরাধী হতে পারে। কিন্তু একজন নারীকে, একজন ” মা” কে শুনে শুনে কলঙ্কিত একটি উপাধি দিতে চেষ্টাকারী পদভ্রষ্ট মহাপাপী।

    সবচেয়ে বড় কষ্ট ও পরিতাপের বিষয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি আনভীরকে আর দশজন নাগরিকের মতো আইনের আওতায় এখনো না আনা। সঠিক বিচারের দাবীতে নোয়াখালী,সিলেট ও দিনাজপুরের ঘটনায় জনসাধারণ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো যেভাবে সোচ্চার হয়েছিল একইভাবে সঠিক বিচারের দাবীতে আন্দোলনে সোচ্চার না হওয়া।

    আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আইনের সঠিক বিচার চেয়ে আন্দোলন করতে হবে হিসাব নিকাশ করে ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে। কোন শিল্পপতি বা ধনকুবের সন্তানের বিরুদ্ধে নয়। প্রভাবশালী ধর্নাঢ্য শিল্পপতিরা এবং তাদের সন্তানেরা কখনো অন্যায় করতে পারে না। তাই অভিযোগ হলেই তাদেরকে আইনের আওতায় এনে তদন্ত করা যায় না। আগে তদন্তপর্ব শেষ করতে হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ