• Uncategorized

    নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সাবেক ওসি কামরুল কারাগারে

      প্রতিনিধি ৩০ অক্টোবর ২০২০ , ৭:৫০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ সাদ্দাম হোসেন মুন্না- স্টাফ রিপোর্টার:

    ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি কামরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন কামরুল ইসলাম। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরআগে তিনি উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন নিয়েছিলেন। আগামী ১ নভেম্বর তার জামিন শুনানী হবে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি কামরুল ইসলাম বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আছেন।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রুপালি আবাসিক এলাকা থেকে সদর মডেল থানার এএসআই সরওয়ার্দী ও মাদকবহনকারী সাবিনা আক্তার রুনুকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

    এ ঘটনায় বন্দর থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি পুলিশের এএসআই আলম সরওয়ার্দী আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, রুনুকে ইয়াবাসহ আটকের পর ওসি কামরুল ইসলামকে আমি ফোন করি। উনি আমাকে নিরাপদ স্থানে যেতে বলেন। এরপর ঘাটের কাছেই বাসা হওয়ায় আমি আসামিসহ আমার বাসায় চলে যাই। পরে ওসি আলামত (৪৯ হাজার পিস ইয়াবা) ও ৫ লাখ টাকা রেখে রুনুসহ দুজনকে এসআই মোর্শেদের কাছে দিতে বলে।

    মোর্শেদ আসামি রুনুকে নিয়ে বাসার নিচে যাওয়ার পর আমাকে ফোন দিয়ে অপর আসামিকে ছেড়ে দিতে বলে। আসামি ছেড়ে দেওয়ার আগে আমি আলামত ও টাকা রেখে দেই। ওই আলামত থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা এনে ওসির নির্দেশমতো রাস্তা থেকে জনি নামে একজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। রাতে ডিবি অভিযান চালিয়ে আলামত ও টাকা জব্দ করে।

    কনস্টেবল মো. আসাদুজ্জামান জবানবন্দিতে বলেন, সরওয়ার্দীর বাসায় গিয়ে দেখি রুনু ও আ. রহমানকে দেখতে পাই। সে দুজনকে ইয়াবাসহ ধরেছে। মাদকগুলো থানায় না এনে বাসায় আনার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সরওয়ার্দী বলেন, ওসি কামরুল স্যার আমাকে আসামিসহ মাদকগুলো বাসায় রাখতে বলেছে।

    পুলিশের দুজন সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওসি কামরুলের নাম আসার পরেও তাকে বাদ দিয়ে গত আগস্ট মাসে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ