• আইন ও আদালত

    নওগাঁর পোরশায় অবৈধভাবে স্যার মজুদের দায়ে কি ব্যবসায়ীর ৮০ হাজার টাকা জরিমান

      প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:১০:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহআলম ক্রাইম রিপোর্টার পোরশা নওগাঁঃ

    নওগাঁর পোরশা উপজেলার শিশা বাজারে দুই ডিলারের গোডাউন থেকে অবৈধ ভাবে মজুত করা ৬৭৮৮ বস্তা ডিএপি ও ৫৪৮ বস্তা এমওপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুই অসাধু ডিলারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    এনএসআই নওগাঁ কার্য্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, অধিক মুনাফার আশায় পোরশার শিশা বাজারে মার্কেনটাইল ব্যাংকের নিচ তলায় সার ডিলার বিকাশ সাহার গোডাউনে ৫৯০৬ বস্তা ডিএপি সার ও ৩৪৭ বস্তা এমওপি সার মজুত করা আছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে জানানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিকাশ সাহা মুর্শিদপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

    এর পূর্বেও বিকাশ সাহা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিপুল পরিমান সার মজুদ করে স্থানীয় কৃষকদের কাজ হতে অবৈধ ভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। গোডাউন সার ভর্তি থাকায় বেশি দামের আশায় অনেক কৃষকদের সার না দিয়েই ফেরত পাঠিয়েছে। উক্ত তত্ত্বের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ((সার গুলো জব্দ করেন।

    উল্লেখ থাকে যে বর্তমানে পোরশা উপজেলায় আমন মৌসুমে যে পরিমাণ সারের প্রয়োজন তার চারগুণ স্যার বিভিন্ন ভাবে ডিলারগন বিভিন্ন গোডাউনে মজুদ করে রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন একান্ত সাক্ষাৎকারে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, কৃষক হলো দেশের প্রাণ” গুটি কয়েক লোকের কারণে আমন চাষ ব্যাহত হবে এটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারবো না। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। শুধু সার কে কেন্দ্র করে নয় উপজেলার যে কোন অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

    বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একটার পর একটা অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে চলেছেন শুধু তাই নয় উপজেলার বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ও কোন ভাবেই ছাড় দেননি সরকারি কর্মকর্তা এই কর্মকর্তা।

    অবৈধ ভাবে সার মজুদ রাখার অপরাধে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও একই বাজারে সার ডিলার নাজমুল আলমের গোডাউন থেকে ৮৮২ বস্তা ডিএপি ও ২০১বস্তা এমওপি সার মজুদের দায়ে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, সারগুলো উদ্ধারের পর জব্দ করে রাখা হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রয় করা হবে। পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন বলেন, দুই ডিলারের গোডাউন থেকে ৬৭৮৮ বস্তা ডিএপি ও ৫৪৮ বস্তা এমওপি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর সার গুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে। শনিবার উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সরকারি দামে বিক্রয় করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ