• আইন ও আদালত

    দেশে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে একটি চক্র সিইও র‍্যাব-৩

      প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২২ , ৬:৩৪:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    দেশে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে একটি চক্র সিইও র‍্যাব-৩

    দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভয়াবহ নাশকতা চালাতে প্রতারক চক্রটি দেশের বাজারে এই অবৈধ হ্যান্ড সেট গুলো বাজারজাতকরণের জন্য উঠে পড়ে লেগে ছিলো। রাষ্ট্রবিরোধী দেশে সহিংসতার জন্য অবৈধ হ্যান্ডসেট গুলো মূলত ব্যবহারের উদ্দ্যোশে সেট গুলো রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল মার্কেটসহ হাতে হাতে পৌছে দিতে প্রতারক চক্রটি ।পুরো প্রক্রিয়ার নেপথ্য কারিগর ছিলেন,মোঃ স্বপন (২৬) যিনি নিজে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পার করতে না পারলে ও নকল মোবাইল তৈরীর মূল কারীগরী রপ্ত করেছেন ভালো ভাবে।

    এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব ও বিটিআরসির যৌথ উদ্দ্যোগে
    গত ০৮ আগস্ট ২০২২ র‍্যাব-৩ এর আভিযানিক দল রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কারিগর মোঃ স্বপন (২৬),জেলা জামালপুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সোমবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

    তিনি আরও জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ র‍্যাব-৩ চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের কার্যক্রমের উপর নজরদারী করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে কতিপয় চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয় বিক্রয়কারী চক্রের সন্ধান পায়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে ভূয়া আইএমইআই মোবাইল ১৪৯৫ টি, মোবাইলের নকল ব্যাটারী ৩৩৭০ টি, হেডফোন ১২০ টি, চার্জার ক্যাবল ৩৮৫ টি, নকল মোবাইলের চার্জার ১১৫৫ টি, সেলার মেশিন ০১ টি, হিট গান মেশিন ০১ টি, এলসিডি মনিটর ৪৩ টি, ইলেকট্রিক সেনসর ১০ টি, আইএমইআই কাটার মেশিন ১৩ টি এবং বিপুল পরিমান ভূয়া আইএমইআই স্টীকার ও ভূয়া বারকোড উদ্ধার করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী জানায় যে, ২ বছর পূর্বে সে ঢাকায় কাজের সন্ধানে এসে প্রথমে মতিঝিলে একটি অফিসে পিয়নের চাকুরী নেয়। উক্ত অফিসে একজন স্টাফের মোবাইল মেরামত করতে গিয়ে মোবাইল সার্ভিসিং এর এক কারিগরের সাথে তার পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে সে জানতে পারে উক্ত ব্যবসাটি লাভজনক।

    উক্ত মোবাইলগুলোতে সীম ইনসার্ট করলে “বিটিআরসির ডাটাবেজে হ্যান্ড সেটটি নিবন্ধিত নয়” এই মেসেজ আসে। উক্ত মোবাইলগুলো বিক্রির পর অধিকাংশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা মোবাইলের বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ