আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের টপ লেভেলের দুর্নীতিবাজদের পর্দার আড়াল রেখে জাতির মাথার মুকুট আলেমদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ১১৬ জন আলেমের নাম উল্লেখ করে, এবং ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে নামধারী ‘গণকমিশন’ দুদকে যে শ্বেতপত্র জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে তাতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ,ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। আলেমদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমানে দেশবিরোধী একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তথাকথিত গণকমিশনের নামে নতুন এক চক্রান্তের আবির্ভাব হয়েছে ।

আজ(১২ মে) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন, দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামদের বিরুদ্ধে গণকমিশন গঠনের এখতিয়ার বা অধিকার তাদের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তত নেই। দেশে আইন আদালত থাকার পরেও গণকমিশন গঠন রীতিমতো দেশের সংবিধান বিরোধী। যারা তালিকা তৈরি আলেমদের তালিকা করেছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও বিভিন্ন পর্যায়ে তিরস্কৃত।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ওয়াজ মাহফিল দেশের হাজার বছরের একটি উজ্জ্বল সংস্কৃতি। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি, আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের অন্যতম একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের নির্দেশ করা হয়। যা প্রশংসার দাবিদার, সমাজের সকল অনাচার, অন্যায় এবং ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে মানুষকে সৎপথে ও কল্যাণের পথে চলতে সাহায্য করে। ইসলামী আলোচকগণ তথা উলামায়ে কেরাম ধর্মের বিশুদ্ধ বার্তা মানুষের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ত্যাগ শিকার করে থাকেন। উক্ত সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য যারা কাজ করতেছে তারা আর যাই হোক না কেন , দেশপ্রেমিক হতে পারে না।

ইসলামী আন্দোলনের নেতৃদ্বয় বলেন, দুর্নীতিবাজ এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারীদের বিষয়ে তাদের নিরবতা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। এসব উস্কানীমূলক ও বানোয়াট বক্তব্যের কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । অতএব যারা এসব উস্কানীমূলক কার্যকলাপ করছে, সরকারকে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে