• Uncategorized

    দুমকী উপজেলায় বিধবার জমি,জবর দখলের চেষ্টা,প্রভাবশালীদের হয়রানির শিকার বীনা রানী।

      প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২১ , ৬:০৮:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    দুমকী উপজেলায় বিধবার জমি,জবর দখলের চেষ্টা,প্রভাবশালীদের হয়রানির শিকার বীনা রানী।পটুয়াখালী জেলার  দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের উওর মুরাদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের স্বামীহারা বিধবা অসহায় বিনা রানী মিত্র কে স্বামীর সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে মিথ্যে মামলা দিয়ে ভিটেমাটি দখলের চেষ্টা  প্রভাবশালীদের, এমনটাই  অভিযোগ উঠেছে।

    ঘটনাসূত্রে ও অভিযোগকারী, অসহায় বিধবা বীনা রানী মিত্র একান্ত সাক্ষাৎ কালে জানাযায়, গত ২৬ বছর আগে আড়াই বছরের এক ছেলে বাদল ও এক মেয়ে অনিমাকে রেখে স্বামী দুলাল মিত্র  পরলোক গমন করেন। স্বামীকে হারিয়ে দুই সন্তানের জননী দুঃখের অথৈই  সাগরে ভাসছেন আজ-অব্দি ।

    মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া  ভিটামাটি দখলের উদ্দেশ্যে আমার স্বামী দুলাল মিত্রের ওয়ারিশ নেই দেখিয়ে আদালতে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে নীল কন্ঠ মিত্র, নির্মল মিত্র ও সুশীল মিত্র, এবং তাদের সহযোগীতার যোগান দিচ্ছে অএ এলাকার জুরান মাষ্টার ও তার দুই ছেলে বিকাশ ও শেখর। মামলা চালাতে গিয়ে নিঃশ্ব হয়ে পরেন তিনি বর্তমানে আসমানীদের মতই জীবনযাপন করছে বিধবা বীনা রানী মিএ।

    এসময় ভারাক্রান্ত মননিয়ে তিনি আরও বলেন, লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালীতে এক বাড়ি রয়েছে সেখানে আনুমানিক  ৮০ হাজার টাকার গাছ কেটে বিক্রি করেছে নীল কন্ঠ ও তার ছেলে নির্মল। জানতে পেরে বাঁধা দিতে গেলে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি ধামকীও দেয়।

    এমনকি, জুরান মাষ্টারের দুই ছেলে বিকাশ দাস (বিআইডব্লিউটি) ও শেখর দাস (চট্রগ্রাম পোর্ট অফিসার), তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের ভিটামাটি ছাড়া করা ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ একের পরে এক শারীরিক ও মানষিক অত্যাচারে  চালিয়ে আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পায়তারা চালাচ্ছে নীল কন্ঠ, সুশীল ও নির্মল।

    এদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বরিশাল মেয়ে অনিমার কাছে গিয়ে থাকতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় কোথায় যাব কি করব কিভাবে বাচঁবো। এদের অত্যাচারের হাত থেকে বাচঁতে পথ খুজে পাচ্ছি না বলে মিডিয়ার সামনে কেঁদে ফেলেন অসহায় বীনা রানী। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে আইনের কাছে সুবিচার পাওয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।

    এব্যাপারে একই বাড়ির সুনীল মিত্র বলেন, ২০১৩ সালে নির্মল মিত্র জাল দলিল করে বীরেন রক্ষিত এর নামে মামলা দেয়। এবং ধানকাটা নিয়ে সুনীল মিত্র, মনোতোষ মিত্র ,সুমন মিত্র, বীরেন রক্ষিত, নীরাঞ্জন নাগ ও মনোরঞ্জন নাগ এদের ৬ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

    এছাড়াও মৃত দুলাল মিত্রের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে ওয়ারিশ ছেলে বাদল থাকা সত্ত্বেও ওয়ারিশ নাই দেখিয়ে বীনা রানীর নামে মিথ্যে মামলা দিয়েছে সুশীল মিত্র, পিতাঃ রাধা চরন মিত্র ও নির্মল মিত্র, পিতাঃ নীল কন্ঠ মিত্র। এভাবে একাধিক মিথ্যে মামলায় হয়রানি করে জমি আত্মসাৎ করা এদের পেশা এরা এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে খ্যাত ꫰

    সুনীল মিত্রের ছেলে সুমন বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় জীবন কাটাচ্ছি। বহিরাগত লোকজন এনে আমাকে মারার জন্য দেখিয়ে দেয়, আমি বাজারে ব্যবসা করি রাতে একা বাড়িতে ফিরতে হয় আতংক নিয়ে।  এথেকে রেহাই পেতে আইনের সহোযোগিতা কামনা করেন।।

    এবিষয় নির্মল মিত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এনিয়ে আমাদের  আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমার চাচা দুলাল মিত্রের পরলোক গমনে তার ছেলে বাদল মিত্র সকল সম্পত্তির ওয়ারিশ এবং বীনা রানী জীবন সত্বে মালিক হয়ে সম্পত্তি ভোগ করিতে পারবে।

    তবে বাদল মিত্র হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায় ওয়ারিশ নয়। এখন এ সম্পত্তি কে পাবে সেটা আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি আমরা এমনটাই জানান তিনি। এনিয়ে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগীর পরিবারটি আতংকে দিনকাটাচ্ছে,তাই উর্ধতন কর্মকর্তাদের জোর হস্তক্ষেপের কামনা করছেন অসহায় পরিবারটি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ