আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:
পবিত্র মাহে রমাযান আসন্ন। আর কিছু দিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে রহমত মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির সেই সুমহান মাস মাহে রমাযান। ইতিমধ্যে গোটা মুসলিম বিশ্বে মাহে রমাযানকে স্বাগত জানাবার যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আর রমজানের নিয়মও তাই। যার গুরুত্ব যত বেশি, যার মর্যাদা যত বেশি, তাকে স্বাগত জানানোও বরন করার জন্য ততদিন ধরেই মানুষ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। এবং যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অধীর অপেক্ষায় সময়ের প্রহর গুনতে থাকে, কখন তার আগমন ঘটবে।
ঠিক তেমনি ভাবে আল্লাহর নেক্কার বান্দা বান্দীগন সারা বছরই রমযানের অপেক্ষা করতে থাকে। বিশেষভাবে শাবান মাস আসলে তারা রমজানকে অভ্যার্থনা জানানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেন।প্রত্যেকে নিজ নিজ দৈনন্দিন কর্মসূচি নতুন করে নির্ধারণ করে থাকেন। উদ্দেশ্য হলো, রমজানে কিভাবে একটু বেশি সময় ইবাদত বন্দেগীতে কাটানো যায়। যে সব কাজ রমজানের পর পর্যন্ত বিলম্ব করলে তেমন ক্ষতির আশংকা না থাকে সে গুলোকে রমজান পরবর্তী সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করেন।
কোন কোন কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেন। ব্যবসা-বানিজ্য থাকলে গুটিয়ে নেন। মানুষের নিকট দেনা -পাওনা থাকলে তা আদায় করে দেন।৷ যাকাত ফরয হলে তা আদায় করে দেন। যাতে গরীবদের রোযা রাখতে সুবিধা হয়।এ ভাবে দুনিয়াবী কাজ কর্ম গুছিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন, রমজান আগমনের। রমজান আসলেই এক ধ্যান এক খেয়ালে ইবাদতে মশগুল হয়ে যান।এ হলো দীনদার -মুত্তাকী লোকদের রমজান মাসকে স্বাগত জানানোর পদ্ধতি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.