• শিক্ষা

    তিতুমীরের মাঠে আড্ডাময় ইফতার

      প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ১:২৯:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মাহামুদুল হাসান লিমন-তিতুমীর কলেজঃ

    বিশ্বব্যাপি পবিত্র রমজান মাস চলছে। আত্মশুদ্ধি ও সংযমের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এই রমজান মাস ঘিরে নানা আয়োজন থাকে দেশজুড়ে। পাড়া- মহল্লা থেকে শুরু করে প্রতিটি পরিবারে চলে রমজান উপলক্ষে ইফতার আয়োজন। তেমনি আয়োজন দেখা যায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়। শিক্ষার্থী, বন্ধু – বান্ধব, সহপাঠীদের সমাগমে আড্ডা মুখর হয় ইফতার।

    রাজধানীর ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজ। প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থীর এই প্রতিষ্ঠান। সরকারি সিদ্ধান্তে চালু রয়েছে শিক্ষা-কার্যক্রম তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে ক্যাম্পাসে। সবুজে, শ্যামল, ছায়া ঘেরা প্রকৃতির এই ক্যাম্পাসে প্রতিদিনই চলে ইফতার আয়োজন। কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক এবং কলেজস্থ জেলা সংগঠনের উদ্যেগে এই আড্ডা মুখর ইফতার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

    বাংলাদেশে এ বছর ১৪ ঘন্টা রোজা রাখতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অনাহারে থেকে দুপুর গড়িয়ে বেলা শুরু হতেই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা দল বেধে কলেজে আসে। বিভিন্ন বর্ষের ছোট – বড়, সমবয়সী একসাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের মাঠে জমায়েত হতে শুরু করে। কেউ পাঞ্জাবি- টুপি কেউবা শার্ট – ফতুয়া গায়ে হাজির হয়। কখনো কখনো নারী শিক্ষার্থীরাও সামিল হয় ইফতার আয়োজনে। আছরের নামাজ শেষে একত্রে গোল হয়ে সবুজ গালিচায় বসে গল্প, আড্ডা, হামদ-নাদ ও দোয়া চলতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

    পরিবার থেকে দূরে থাকা এসব শিক্ষার্থীরা বন্ধু, সহপাঠীদের মধ্যেই খুঁজে নেয় শৈশবের ইফতারের স্মৃতি। কোলাহল মুক্ত, ইট-পাথরের দালান-কোঠা থেকে বেরিয়ে আসে প্রকৃতির সান্নিধ্যে । কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজন করা ইফতারেও থাকে বাহারি খাবারের আয়োজন। এর মধ্যে থাকে আলুর চপ, পিয়াজু, ডিমের চপ, জুস, বেগুনি, জিলাপি, খেজুর, বুন্দিয়া, বড়া এবং নানা রকম ফল-ফলাদি।

    তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মামুন সোহাগ বলেন, সাধারণত ক্যাম্পাসে আড্ডামুখর হয় ইফতার। কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ইফতার আয়োজনে তেমন আড়ম্বর না থাকলেও এ নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার যেনো কোনো কমতি থাকে না। ক্যাম্পাসে ইফতার মানেই প্রাণের মেলা, ভিন্ন উৎসব।
    কলেজের অন্য এক শিক্ষার্থী নাইম বলেন, কলেজের মাঠে প্রকৃতির মাঝে বন্ধুদের সাথে প্রকৃতির সাথে, খোলা আকাশের নিচে, সবুজে ঘেরা মাঠে ইফতার করার আলাদা একটি তৃপ্তি রয়েছে।

    বিশেষ করে বিকালের সময় এখানে অনেক শীতল বাতাস বয়। যা মন ভালো করে তোলে ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
    করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউন থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো দীর্ঘদিন। গত বছরও রমজান লকডাউনের মধ্যে হাওয়ায় ছিলো না তেমন কোন আয়োজন। মানুষ ছিলো ঘর বন্দী, স্বাভাবিক জিবন যাপনে ছিলো বাঁধা নিষেধ। ফলে এবার উন্মুক্ত পরিবেশে শিক্ষার্থীরাও উৎসাহ আনন্দ নিয়ে ক্যাম্পাসে ইফতার আয়োজন করছে। সবাই একসাথে ইফতার করে আনন্দের যেনো সীমা নেই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ