মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর সপ্তাহে তিন দিন করে দুই বেলায় ৪০০ গ্রাম মুরগির মাংস পাওয়ার কথা। সপ্তাহের বাকি চার দিন রুই মাছ ও পাঙাশ মাছ পাবেন যথাক্রমে ২০০ গ্রাম ও ৪২৯ গ্রাম। এ হিসাবে মাস শেষে বিল করে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে একজন রোগী দুই বেলায় ৫০ গ্রামের বেশি মাছ, মাংস পান না। মূলত এই হাসপাতালের রোগীদের খাবার সরবরাহে সরকারি দলের নেতাদের একটি চক্র আছে। তাঁরাই ঘুরেফিরে ডায়েটের বিভিন্ন পণ্য সরবরাহে হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো তা সরবরাহ করেন। তবে বর্তমানে খাবার সরবরাহে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতি রোগীর খাদ্যে দিনে ১২৫ টাকা বরাদ্দ থাকে। খাদ্য সরবরাহ বাবদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বছরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালের খাবারের মান খুবই খারাপ। এ চক্র নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। সূত্রের দাবি, হাসপাতালের সকল অনিয়ম-দূর্নীতি হয় বড় বাবু শাহিনুর রহমানের নেপথ্যে মদদে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় তবুও তিনি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে দেড় যুগ একই কর্মস্থলে রয়েছেন। খাবারের অনিয়ম এর বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত টিএইচ ও মুঠোফোনে বলেন আমার হাসপাতালে খাবার নিয়ে কোন অনিয়ম করা হয় না। একটা রোগীর জন্য যে দিনে ১২৫ টাকার খাবার দেওয়ার কথা সেটাই দেওয়া হয়। আরও বলেন এখন করা সময় ১২৫ টাকার খাবার আর কত ভালো হবে। রোগীরা বলছে খাবার খুব নিম্ন মানের। আর একশ পচিশ টাকা তো দুরে থাক ৫০ টাকার ও খাবার দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে টিএচ ও আব্দুল হাকিম অভিযোগ অস্বীকার করেন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.