• রাজশাহী বিভাগ

    তানোর সরকারী খাদ্যগুদামে সিন্ডিকেটের দৌরাত্মা

      প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:৩৯:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরের সরকারী খাদ্য গুদামে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,তানোর পৌর সদরে ৪টি ও কামারগাঁ ইউপিতে ২টি মোট ৬টি খাদ্যগুদাম রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশক্ষেত্রে এসব গুদামে স্বাভাবিক নিয়মে কোনো কাজ হয় না। কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক পদে পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দিতে হয় ব্যতিক্রম হলেই পদে পদে হয়রানি। এছাড়াও ডিওলেটার আটকিয়ে টাকা আদায়, রাঁতের আঁধারে ভাল মাণের চাল বের করে নিম্নমাণের চাল গুদামজাত ও বিশেষ কৌশলে বস্তা থেকে চাল বের করে নেয়া ইত্যাদি অভিযোগ অনেক পুরুণো বলেও আলোচনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেয়ারপ্রাইজ কর্মসুচির এক ডিলার বলেন, সব অনিয়ম কর্মচারীর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তিনি বলেন, তাদের আর্থিক সুবিধা না দিলে বেছে নিম্নমাণের চাল গছিয়ে দেয় প্রতিবাদ করলেই কপালে শণির দশা-?

    এদিকে অসমর্থিত একটি সুত্র জানায়, জনৈক সুনিল, নাজিম, জুয়েল ও সেলিমের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র টিআর-কাবিখা, খাদ্যবান্ধব, ওএমএস ইত্যাদি কর্মসুচির চাউল কম দামে কিনে নীতিমালা লঙ্ঘন করে গুদামে মজুদ রাখে। প্রত্যক্ষদর্শী জানায়,গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্প্রতিবার ওএমএস ডিলার জনৈক আলমের কাছে থেকে ৪০ বস্তা (৫০ কেজি), আলফাজের কাছে থেক প্রায় ৮০ বস্তা, দেবানন্দ দেবার কাছে থেকে প্রায় ৭০ বস্তা, সুনিলের কাছে থেকে প্রায় ১১০ বস্তা এএমএস কর্মসুচির চাউল কিনে খাদ্যগুদামে মজুদ করা হয়েছে। জনৈক সুনিল-সেলিম-নাজিম ও মিজান সিন্ডিকেট করে ওএমএস-এর এসব চাল কালোবাজারে কিনে গুদামে জমা করা হয়েছে।

    সরেজমিন গুদামে সংরক্ষিত খাদ্যশস্যর মজুদ ও বিতরণ তালিকা পরীক্ষা করা হলেই এসব অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর সরকারি খদ্যগুদাম কর্মকর্তা(এলএসডি) অহেদুজ্জামান ও কামারগাঁ খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম উভয়েই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডিলারগণ বাইরে কি করলো সেটা তাদের বিষয় নয়,তবে খাদ্যগুদামে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই। এবিষয়ে তানোর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) আজাহার হোসেন বলেন, সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ পেলে গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ