• রাজশাহী বিভাগ

    তানোরে ৮০০ টাকার সার দেড় হাজার টাকায়ও মিলছে না

      প্রতিনিধি ১৯ আগস্ট ২০২২ , ১১:২২:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাজশাহীর তানোরে সারের বাজারে আগুন! মূল্যবৃদ্ধির খবরে বাজারে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। স্থানীয়রা বলছে, মাত্র ৭৫০ টাকার এমওপি সার কিনতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। আবার বেশি দামেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সার। ফলে আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। শঙ্কা দেখা দিয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে। কৃষি বিভাগের দাবি, বাজারে সারের কোনো সংকট নেই। ডিলার পর্যায়ে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বেশি দামে বিক্রির কোনো অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও কোনো সমস্যা হবে না।

    তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা এমওপিসহ সব ধরনের সারের দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বারাইনাশক ব্যবসায়ীরা সারের অবৈধ মজুদ গড়ে বেশী দামে বিক্রি করছে। উপজেলার তালন্দ ইউপির নারায়নপুর গ্রামের এক কৃষক বলেন,তালন্দ বাজারের মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে এক বস্তা পটাশ সার কিনিছেন ১৫৫০ টাকায় তবে তাকে মেমো দেয়া হয়নি, মেমো চাইলো সার দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, তালন্দ বাজারের মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স, লাবনী ট্রেডার্স,কাজল ট্রেডার্স ও আজিজপুর মোড়ের শাফিউল ট্রেডার্স তাদের বাড়িসহ বাজারের বিভিন্ন গুদামে সারের অবৈধ মজুদ গড়ে বেশী দামে বিক্রি করছে।

    কিন্ত্ত একাধিকবার কৃষি কর্মকর্তাকে অবগত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। চৌধুরী ট্রেডার্সের পিছনে গুদাম ঘরে বিপুল পরিমাণ নন ইউরিয়া সারের অবৈধ মজুদ রয়েছে। বেলপুকুর গ্রামের কৃষক টিপু জানান, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। চারা রোপণের সময়ও প্রায় শেষ। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে জ্বালানি কিনে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করতে হচ্ছে। এমন সময় বাড়ানো হলো সারের দাম। বেশি দাম দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না সার। এত খরচ করে আবাদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি তালন্দ বাজারের সার ব্যবসায়ীদের গুদামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দাবি করেছেন।

    খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ইউরিয়া ও টিএসপি এক হাজার ১০০ টাকার স্থলে এক হাজার ৪০০, ডিএপি ৮০০ টাকার স্থলে ১১০০ এবং এমওপি (পটাশ) ৮৫০ টাকার স্থলে এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, তাঁর হিসাব মতে এখানো ডিলারদের ঘরে সার মজুত রয়েছে। সারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ