• রাজশাহী বিভাগ

    তানোরে ৩০ বছর ধরে খাস-পুকুর দখল,সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

      প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২২ , ৮:৩০:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    এস আর,সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি পুকুর মামলার অজুহাত দেখিয়ে ৩০ বছর ধরে ভোগ-দখল করছেন জালিয়াত চক্রের মূলহোতা রিয়াজ উদ্দিন নামের একব্যক্তি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে সরকার প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। গ্রামবাসী অবিলম্বে এই পুকুরটি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জুরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    অভিযোগ ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মহাদেবপুর মৌজায় ১ নম্বর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত আরএস ৫৭৬ নম্বর দাগে ২৯ শতক আয়তনের একটি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুর মহাদেবপুর গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিন স্থানীয় তহসিল অফিস থেকে বন্তবস্তের নামে ভোগ-দখল করেন।

    এঅবস্থায় বাবা নাসির উদ্দিনের মৃত্যু হলে তাঁর ছোট ছেলে ময়েজ উদ্দিন ওই পুকুর ভোগদখল করে আসছেন বলে দাবী করে তাঁর বড়ভাই রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ড বরাবর সম্প্রতি গেল বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন।

    কিন্তু ময়েজ উদ্দিনের বড়ভাই রিয়াজ উদ্দিনের ভাষ্য আগে পুকুরটি খাস ছিল। স্বাধীনের পর প্রায় ৩০ বছর ধরে তাঁর বাব-দাদা পুকুরটি ভোগ-দখল করেন। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এককালিন বন্দোবস্ত নেন তিনি। এরপরও খারিজের জন্য ভূমি অফিসে আবেদন করা হয়। কিন্তু তাকে খারিজ দেয়া হয়নি। এজন্য কোর্টে মামলা করা আছে। তবে, মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে আদালতে রয়েছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে রিয়াজ উদ্দিনের দাবী পুকুরটি ভরাট হবার কারণে ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। তাঁর এমন বক্তব্য এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণ রয়েছে।

    এবিষয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরাদ বলেছেন, তাঁর জানামতে পুকুরটি সরকারি খাস। মামলা আছে কি না জানা নেই। তবে, এঅবস্থায় ওদের দুইভাইয়ের কাউকে পুকুর দেয়া উচিত নয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে পুকুরটি নিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা উচিত। নইলে দুইভাইয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এই চেয়ারম্যান।

    এবিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত নাজির শাহিনূর রহমান বলেন, তিনি পুকুরের সব ফাইল দেখভাল করেন। কিন্তু অনুমতি ছাড়া তিনি সাংবাদিকদের তথ্য সরবরাহ করতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে তাঁর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসিল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
    এব্যাপারে তানোর সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, বিষয়টি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ