• আইন ও আদালত

    তানোরে শিক্ষকের লাম্পট্য নিয়ে তোলপাড়

      প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২২ , ৪:৫৪:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরে সহকারী এক শিক্ষকের লাম্পট্য নিয়ে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম আলমগীর হোসেন। তিনি তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)। স্থানীয় সুত্র জানায়, তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ওই শিক্ষার্থী আলমগীরের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। সম্প্রতি প্রাইভেট পড়ার সময় আলমগীর তাকে নোট দেয়ার কথা বলে অপেক্ষা করতে বলেন। সব শিক্ষার্থী চলে গেলেও নোটের জন্য সে একা অপেক্ষা করতে থাকে।

    এসময় আলমগীর জোরপুর্বক ওই শিক্ষার্থী জড়িয়ে ধরে ছবি তোলে এবং দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে নইলে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দেয়। এসময় ওই শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করলে আলমগীর তাকে বেধড়ক মারপিট করে। তার মারপিটে ওই শিক্ষার্থী গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অপ্রত্যাশীত এ ঘটনার শক সহ্য করতে না পেরে মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছে। গত শুক্রবার রাজশাহীতে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।

    কিন্ত্ত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ওই শিক্ষার্থী না আশায় সহপাঠীরা তার খোঁজ নিতে এলে সে কান্না শুরু করে। সহপাঠীরা তাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। এ সময় তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে সে পরিবারের কাছে ঘটনার বর্ননা দেয়। এঘটনার পর তার প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু শিক্ষক আলমগীর তার লালসা পুরুনের জন্য প্রাইভেটে না আসলে তার ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দেয়। আলমগীরের হুমকিতে ওই শিক্ষার্থী প্রায় মানসিক ভারসাম্য হারাতে বসেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষক আলমগীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অভিভাবক মহল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

    শিক্ষার্থীর স্বজনরা বলেন, শিক্ষক মানে মানুষ গড়ার কারিগর, আর প্রতিটি শিক্ষার্থী হচ্ছে সন্তান সমতুল্য। একজন শিক্ষক কিভাবে এতো বিকৃত রুচির হতে পারে। তারা বলেন, সমাজ ও তাদের মেয়ের সম্মানের কথা ভেবে তারা চুপ আছেন, কিন্ত্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ এর বিচার না করলে ওই শিক্ষকের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা করনীয় তা করা হবে। এবিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেনের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তার স্ত্রী রিসিভ করে।

    বলেন ব্যস্ত আছে, তার সঙ্গে কথা বলা যাবে কি না বলা মাত্র সে আলমগীরকে মোবাইল দেয় আলমগীরের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোনো প্রমান আছে আমি এসব করেছি। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম বলেন, এখন কিছু অফিসারের সঙ্গে কথা বলছি, রাত ৯ টার পরে আমি আপনাকে ফোন দিবোনি। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ