• আইন ও আদালত

    তানোরে টিআর প্রকল্পে দুর্নীতি ?

      প্রতিনিধি ২৮ জুন ২০২২ , ১২:৫৩:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাজশাহীর তানোরের তালন্দ ইউনিয়নে (ইউপি) টেষ্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।এদিকে এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ইউপি সদস্যগণ চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবি করেছে। তারা বলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু ইচ্ছেকৃত ভাবে সরকারের সুনাম নষ্ট করতে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছে। জানা গেছে, তালন্দ ইউপিতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে টেষ্ট রিলিফ (টিআর) ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    কিন্ত্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা নামমাত্র কাজ করে সিংহভাগ অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেছে।সুত্র জানায়, তালন্দ ইউপির মোহর মুন্নাপাড়া আনোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে ইদুলের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার ও প্রটেকশন ওয়ালের মাটি ভরাট কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুল করিম। কিন্ত্ত প্রকল্পে কোনো সাইনবোর্ড না দিয়ে নামমাত্র কাজ করে সিংহভাগ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। অন্যদিকে দেউল আল ফালাহ দাখিল মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্য সাড়ে ৬২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    কিন্ত্ত প্রকল্প সভাপতি শরিফুল ইসলাম কোনো কাজ না করেই সিংহভাগ অর্থ উত্তোলন ও নয়ছয় করেছে। তবে শরিফুল ইসলাম বলেন, তাদের প্রকল্পের কোনো টাকা দেয়া হয়নি,নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মাত্র ১৪ হাজার টাকা দিয়েছে চেয়ারম্যান। এদিকে লালপুর পশ্চিম পাড়া ওয়াক্তিয়া মসজিদ উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৬২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্ত্ত প্রকল্প সভাপতি আজাদ কোনো কাজ না করেই সিংহভাগ অর্থ উত্তোলন ও নয়ছয় করেছেন। ঘটনা জানাজানি হলে মসজিদের তহবিলের টাকায় নামমাত্র কাজ করানো হয়েছে।

    সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাগণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেম্বার বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে চেয়ারম্যান ৪০ শতাংশ টাকা কেটে নেন, তাই কাজে নয়ছয় করতে হয়। এ বিরষয়ে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুল করিম জানান, কাজ নিয়ম মতই হয়েছে, পুরো বিল উত্তোলন হয়নি, প্রটেকশন ওয়ালে তো পুকুর খননের মাটি দেওয়া আছে জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে জানান সবকিছুই সঠিক আছে।

    এবিষয়ে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, তার এলাকায় মাদরাসার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এবিষয়ে তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বাবু জানান, পুরো বিল উত্তোলন হয়নি। তবে আরো কাজ করা হবে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম জানান অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে এছাড়াও কাজগুলো সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ