মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর তানোরে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে (দারোগা) প্রত্যাহার (ক্লাজড) করা হয়েছে। তারা দুইজন উপজেলার মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। তাদেরকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মাসুদ রানা। এরা হলেন, এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম।এই দুইজনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়াই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা হিসাবে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামে হামদুল নামের এক ব্যক্তি সরকারী খাস জমির উপরে ব্যক্তি মালিকানাধীন সাবমার্সেবল পাম্প (মটর) বসানোর চেষ্টা করছিলেন।এ সময় গ্রামবাসীরা তাতে বাধা দেয় এবং মুন্ডুমালা পৌর মেয়র এর কাছে একই জায়গায় বড় পাম্প বসানোর দাবি করেন। যাতে করে পুরো গ্রামবাসির খাওয়ার পানির ব্যবস্থা হয়। মেয়র সাইদুর রহমান গ্রামবাসির পক্ষে মত দিয়ে সেখানে বড় পাম্প বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন।এরই মধ্যে গত শুক্রবার সকালে হঠাৎ মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম হামদুলের পক্ষ নিয়ে তার কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সরকারী জায়গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন পাম্প বসানোর কাজ সম্পন্ন করেন। এদিকে শুক্রবার বিকেলে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে এলাকাবাসী মুন্ডুমালা বাজারে জড়ো হয়। খবর পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান জেলা পুলিশ সুপারকে মোবাইলে বিষয়টি অভিহিত করেন। এর পর পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপাার আসাদুজ্জামানকে ঘটনা স্থালে পাঠান। একই সঙ্গে ঘটনা স্থলে আসেন তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া। তারা প্রাথমিক তদন্ত করে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার সত্যতা পান। এবিষয়ে তানোর থানা অফিসার ইন্চার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে শুক্রবার রাতে তাদের পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরবর্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিবেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।