মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের বাধাঁইড় ইউনিয়নের (ইউপি) গোয়ালপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র শাহাবুল ইসলাম তিনি দামি মোটরবাইক নিয়ে ঘোরেন ইউপির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে সব প্রান্তেই তার সমান বিচরণ। কিন্ত্ত একজন মানুষের ভাল গুণ থাকলে যে বিচরণটা লক্ষ্য করা যায় তিনি সেই গুনের অধিকারী নন। তার প্রধান কাজ এলাকার খাসজমির চেক নিজের নামে কেটে, বিনা চেকে সেই জমির পজিশন বিক্রি করে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া, টাকা নিয়ে সালিশের রায় বাদি বা বিবাদীর পক্ষে দিয়ে সালিশ বাণিজ্য ইত্যাদি অন্যতম। সরেজমিন, ইউপির বাঁধাইড়, ঝিনাখৈর, ঘোলকন্দর, হরিসপুর, খাগড়াকান্দর এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে সাহাবুল এসব ভিত্তিহীন ও প্রতিপক্ষের অপপ্রচার।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে সাহাবুল সমাজের স্বশিক্ষিত হতদরিদ্র ভুমিহীনদের রঙীন স্বপ্ন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে খাস জমির পজিশন বিক্রি করেছেন। কিন্ত্ত দলিল করে দেবার কথা বলে টাকা নিলেও এখানো কাউকে কোনো কাগজপত্র করে দেননি। স্থানীয়রা বলছে, ঘর প্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে নেয়া হয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ শনিবার সরেজমিন বাধাইড় ইউপির একান্নপুর মৌজার গোয়ালপাড়া গ্রামে দেখা গেছে, ভুমিহীনরা যার যার পজিশনে টিন দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করছেন।
এ সময় গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র আব্দুল গাফ্ফর, সোলেমান আলীর পুত্র আবুল কালাম ও আবুল কালামের পুত্র আশরাফুল ইসলাম বলেন, সাহাবুলের কাছে থেকে তারা জমি কিনেছেন, তাদের দু'একদিনের মধ্য দলিল করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাহাবুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব দুই নম্বর খাস তার নামে লিজ নেয়া আছে, তিনি কোনো টাকা পয়সা না নিয়ে বিনা টাকায় তাদের বসবাসের অনুমতি দিয়ে সমাজের উপকার করেছেন। এবিষয়ে ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) রাবিউল ইসলাম বলেন, দুই নম্বর খাস সম্পত্তির পজিশন বিক্রি বা সাব লীজ দেবার কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.