মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) বিসিআইসি'র সার ডিলার মেসার্স শাহ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে এমওপি (পটাশ) সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানা গেছে, ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে সারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা সার ডিলারকে অবরুদ্ধ করেন। এসময় সার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কৃষকেরা শান্ত হয়। কিন্ত্ত পরবর্তীতে সার না দিয়ে দোকান বন্ধ করে কৌশলে ডিলার সটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৮ নভেম্বর সোমবার দুপুরে ডিলারের দোকানে প্রায় ৫৫০ বস্তা এমওপি পটাশ সার আসে। এসময় কৃষকেরা সার নিতে গেলে তাদের বলা হয় পরদিন মঙ্গলবার সকাল থেকে সার দেবার কথা বলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।এদিকে মঙ্গলবার সকালে কৃষকেরা সার নিতে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। ডিলার দোকান খোলার পর কৃষকদের জানান, তার কাছে মাত্র ৮০ বস্তা এমওপি পটাশ সার আছে, তাই সবাইকে সার দেয়া সম্ভব নয়। এসময় কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ডিলারকে অবরুদ্ধ করেন।কিন্ত্ত ডিলার কৃষকদের সার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে সার না দিয়েই দোকান বন্ধ করে সটকে পড়ে। স্থানীয় কৃষক সেকেন্দার আলী,ফজলুর রহমান ও আব্দুল ওহাব বলেন, বিএস-এর যোগসাজশে ডিলার আগের দিন সোমবার সন্ধ্যায় নামে-বেনামে স্লিপ কেটে অধিক মুনাফার আশায় সিংহভাগ সার কালোবাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা বলেন, সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স শাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সুলতান বলেন, তার মা ইন্তেকাল করায় তিনি আজকে দোকানে যাননি। তবে এমন হবার কথা নয়। এবিষয়ে ম্যানেজার সাখাওয়াৎ বলেন, বিএস বিপ্লব সাহেবের উপস্থিতিতে আগের দিন সার বিক্রি করা হয়েছে। কালোবাজারে সার বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এবিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব বলেন, তিনি সার বিক্রির অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, তিনি এখন মিটিংয়ে আছেন সারের বিষয়ে কিছু জানতে হলে কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহন না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.