• আইন ও আদালত

    তানোরে অযথায় খাড়ি খনন ও অর্থ আত্মসাত

      প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২২ , ৩:২৯:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরে অযথায় খাড়ি পুনঃখননের নামে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা এলজিইডির কতিপয় কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে কোনো সাম্ভবতা যাচাই বা কৃষকদের মতামত ব্যতিত কথিত খাড়ি পুনঃখনন কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় সুত্র জানায়,
    তানোরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হাতিশাইল-ঘৃতকাঞ্চন প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার খাড়ি পুনঃখননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা এবং ২০২২ সালের ২০ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো দরপত্র আহবান করা হয়নি।

    স্থানীয়রা জানান, এই খাড়ি পুনঃখননের কোনো মানে হয় না। এটা সরকারী অর্থের অপচয় ও কৃষকের দুর্ভোগ ছাড়া কিছু নয়। তারা বলেন, কৃষকের মতামত উপেক্ষা করে এর আগে বিএমডিএ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে একবার খাড়ি খনন ও ক্রসড্যাম নির্মাণ করেছে যেটা কৃষককের ক্ষতি ব্যতিত অন্য কিছু নয়। কারণ একটু বৃষ্টিতে ক্রসড্যামে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয় আবার শুস্ক মৌসুমের আগেই খাড়ি শুকিয়ে যায়। অথচ সেই খাড়ি আবার পুনঃখননের হেতু কি ? আর এতে লাভ কার কৃষকের না খননকারির? এদিকে ৭ এপ্রিল বৃহস্প্রতিবার সরেজমিন দেখা গেছে,খাড়ির বুকে বোরো ধানের খেত।

    যেনোতেনো ভাবে পুনঃখনন ও মাটি ফেলা হচ্ছে পাড়ে সেই মাটিতে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমির ফসল। এতে কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ-অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কৃষক মিলন, আজিজুল ও মেহেদি বলেন, অযথায় খাড়ি পুনঃখনন এটা সরকারি অর্থ তছরুপ বৈ কিছু নয়। তারা খাড়ি পুনঃখনন কাজ বন্ধের দাবি করেছেন। বিএমডিএ’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে এই খাড়ি পুনঃখনন করার কোনো মানে হয় না। এতে অসময়ে জলাবদ্ধতা আবার শুস্ক মৌসুমের আগেই পানি শুণ্যতা দেখা দিবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে এসব খাড়ি পুনঃখনন করা হয় না। তবে আরো বিস্তারিত জানতে হলে তিনি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ