• শিক্ষা

    ঢাবি শিক্ষককে বাসা ছাড়ার নোটিশে ইবির শিক্ষকদের নিন্দা

      প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২২ , ১২:৪০:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’ (ইউট্যাব)-এর মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে ক্যাম্পাস্থ বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় পৃথকভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপি পন্থী শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদ ও সাদা দল।

    বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জিয়া পরিষদের নেতারা বলেন, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের ২০২০ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ওপর একটি প্রবন্ধ রচনার ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

    ভুক্তভোগী শিক্ষক চাকরি ফেরত পাওয়ার আশায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন। হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের উপর রুল জারি করে। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন রয়েছে। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর ওই শিক্ষক তাঁর অসুস্থ স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমতাবস্থায় মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্বেই ঢাবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাঁর ক্যাম্পাসস্থ বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ জাতিকে হতবাক করেছে

    বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এমন সিদ্ধান্ত মানানসই নয়। এ ঘটনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার মূল চেতনাকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে মনে করি। এ ছাড়াও নেতৃবৃন্দরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
    এদিকে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. শরফরাজ নেওয়াজ বলেন,

    একটি জাতীয় দৈনিকে প্রবন্ধ লেখার কারণে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। তিনি আদালতের দারস্থ হলে আদালত বিষয়টির উপর রুল জারি করেন। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। এমতাবস্থায় তাঁকে বাসা ছাড়ার নোটিশ প্রদান করা চরম অন্যায় এবং অমানবিক বলে আমরা মনে করি। বিষয়টি আদালতে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির পূর্বে বাসা ছাড়ার নোটিশটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ