ভোলার লালমোহনে টানা কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি। কৃষক, শ্রমিক মেহনতী মানুষের রোজগারে চরম দুর্ভোগ বিরাজ করছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার নদ-নদী উত্তাল হয়ে পড়েছে। একদিকে অবিরাম বৃষ্টি অন্যদিকে লালমোহনের পূর্ব পাশে মেঘনা এবং পশ্চিমে তেতুলিয়া নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের ভিবিন্ন রাস্তাঘাট, পুকুর, বীজতলা, কৃষিজমি, সবজিখেত, মাছের ঘেরসহ বিভিন্ন লোকালয়ে ডুকে পড়ছে পানি।
ভোলায় মেঘনার পানি বিপদসীমার ১ শত ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ছিলো বিগত কয়েক দিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর, লর্ডহাডিঞ্জ, রমাগঞ্জ, চরউমেদ, বদরপুর, কালমা, চরভূতা, ফরাজগঞ্জ, লালমোহন ইউনিয়ন ও লালমোহন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি ও জোয়ারের পানি লোকালয়ে ডুকে পড়েছে। ফলে গ্রামের সাধারন মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন এর কামারের খাল এলাকার স্লুইজ গেটটি দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর যাবত বন্ধ করে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্লুইজ গেট দিয়ে এখানের পানি ভাটার সময় নদীতে নামতে না পারার কারনে এলাকাবাসী প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার স্বীকার হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায় এখানে কামারের খালে মাছচাষের সুবিধা দেয়ার জন্য স্লুইজ গেটটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নতুন স্লুইজ গেট তৈরী করছে না আবার যেটি ছিল সেটি বন্ধ করে দিয়েছে।
লালমোহন পৌরসভার কলেজ পাড়ায় মাছের ঘের এ জোয়রের পানি ঢুকে ঘের তলিয়ে গেছে। ঘেরের স্বত্তাধিকারী শংকর মজুমদার বলেন গতকাল রাতে বৃষ্টি ও জোয়রের পানি ঢুকে ঘেরের প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। এছাড়া লালমোহন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। লালমোহন খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের সময় খাল পাড়ের অনেক ব্যবসায়ীর ঘরে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন জানান তার উত্তর বাজারের গুদামে পানি ঢুকে অনেকগুলো পোল্টি ফিড নষ্ট হয়েছে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.