কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাউল গ্রামে শারমিন আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা গেছে। নিহত শারমিন ওই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলামের স্ত্রী ও একই গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বাশুড়ী কমলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয় পুলিশ। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উরুকচাউল গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে শারমিন আক্তারকে দু’বছর আগে একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে, কামরুল ইসলাম জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করে। এরপর চট্টগ্রামে আত্নগোপন করে সে। পরে গ্রামবাসীর চাপের মুখে বিষয়টি স্বীকার করে বাড়িতে নিয়ে আসে শারমিনকে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কামরুল ইসলাম মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জেরে কয়েক দফা শারমিনকে শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী কামরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন।
এ নিয়ে দু’পরিবারের মাঝে একাধিক বার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করলেও থামেনি শারমিনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে স্বামী কামরুল ইসলাম শারমিনকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে বন্দি করে রাখে।
শারমিনের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারমিনের রুমে গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে শারমিনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃত্যু নিশ্চিত হলে কামরুল ইসলাম নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করলে শারমিনের পিতা-মাতা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশকে খবর দেয়।হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করেন নিহতের মা ছেনোয়ারা বেগম ও পিতা আবুল খায়ের। নাঙ্গলকোট থানার ওসি (তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন- লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.