• Uncategorized

    জীবন আটকে গেছে ভোগান্তিতে-দৈনিক অালোকিত ৭১ সংবাদ

      প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২:৫৬:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মো আরিফুর রহমান অরি-মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মানিকগঞ্জ শহরে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা তেমনি যানবাহনের হর্ন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েই    চলেছে। মানিকগঞ্জ শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সার দখলে চলে গেছেশহরের অপ্রশস্ত সড়কগুলো। আর এসব ইজি বাইক ও অটো রিক্সার কারণে শব্দদূষণে চলাফেরা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। চরম আকার ধারণ করেছে মানুষের ভোগান্তি।

    শহরের অনতম ব্যস্ত সড়ক মানিকগঞ্জ  বাসস্ট্যান্ড রোড এর বিভিন্ন পয়েন্টে দিনভর যানজট লেগেই থাকে। যারা শব্দদূষণ তৈরি করছেন তারা নিজেরা যেমন এর শিকার হচ্ছেন, আশেপাশে অবস্থানকারীদেরকেও তেমনি এর শিকারে পরিণত করছেন। নিয়ম না মেনে যত্রতত্র থামিয়েযাত্রী উঠানামা ও সড়ক দখল করে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে শহর জুড়েই কারণে-অকারণে হর্ন বাজানোয় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।

    অন্যান্য দূষণের মত শব্দদূষণের রয়েছে ক্ষতিকর প্রভাব। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগের মধ্যে অন্যতম শ্রবণ শক্তি হ্রাস, বধিরতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, ও দুশ্চিন্তা। নিজেদের পাশাপাশি বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছি আমাদের আগামী প্রজন্মকেও। তাই শব্দদূষণের প্রভাব থেকে মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতিরোধে প্রয়োজন শব্দদূষণ বিধিমালার কার্যকরী প্রয়োগ।

    মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর )সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়….মানিকগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তায় ইজি বাইকের-অটো রিক্সা- সি এন জি –বাস-এর কারণে বিষাক্ত হর্নের শব্দ প্রতিনিয়তই জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।মানিকগঞ্জ শহরের একজন স্কুল ছাএ বলেন … অনলাইন এ  ক্লাস  করে পড়তে বসলে জোরে জোরে হর্ন বাজার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।  বিশেষ করে মোটরসাইকেলসহ কিছু যানবাহনে বিকট শব্দের হর্ন বাজানো ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কয়েকজন পথচারী জানান, অসহনীয় হর্ন ব্যবহার ও চালকদের কোনো রকম প্রশিক্ষণ বা নিবন্ধন না থাকায় অসচেতনতায় তারা শব্দ দূষণ করে যাচ্ছে।  শব্দদূষণ বৃদ্ধির জন্য নগর পরিকল্পনার ত্রুটি ও আইনের প্রয়োগ না থাকাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি চালকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ বা কর্মশালার মাধ্যমে সচেতনায় কাজ করে তবে এ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

    বিধিমালা অনুযায়ী হাসপাতাল, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর চারদিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ওইসব এলাকায় গাড়ি চলাচলের সময় যে কোনো ধরনের হর্ন বাজানো নিষেধ হলেও সে নিষেধাজ্ঞা মানার যেন কেউ নেই।

    মানিকগঞ্জে পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম জানান,  ইজি বাইকের-অটো-রিক্সা গাড়িগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই। চালাতে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সেও লাগে না। তবুও প্রায়  অর্ধ সহস্র গাড়িকে চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এ বিষয়ে তাদের হুশিয়ারি দেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ