• Uncategorized

    জীবননগরে থানা পুলিশের সামনেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মেয়ে দিয়ে মামলার হুমকি

      প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:৪৫:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মোঃ রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ) চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধিঃ

    চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে দু’টিপক্ষের মধ্যে বসতভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের সৃষ্ট বিরোধ নিস্পত্তির জন্য উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে নিজের যুবতি নাতিনী দিয়ে মামলা দেয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। হুমকি থেকে রক্ষা পায়নি পুলিশও। এমন প্রকাশ্য হুমকিতে হতবাক হন প্রত্যক্ষদর্শী রা।
    এলাকাবাসী সুত্র জানিয়েছেন,জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত সৈয়দ গাইনের ছেলে আজিজ গাইনের সাথে একই গ্রামের মুত জাহার আলী মন্ডলের বসতভিটার সীমানার দেড় কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘ ২০-২২ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে।

    দেড় কাঠা জমির দখল নিয়ে দু”পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা- মামলার ঘটনাও দীর্ঘদিনের। এলাকায় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের সালিস দরবার কম হয়নি দু” পক্ষকে নিয়ে। কিন্ত আজিজুল গাইন ও তার স্ত্রী আয়েশা,কন্যা খেদেনার একগুয়েমী আচরনের কারনে বিরোধ নিস্পত্তি সম্ভব হয়নি। গ্রামের মানুষও সে কারনে আর তাদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। এদিকে আজিজুল গাইনের স্ত্রী- কন্যার অভিযোগ নিতে নিতে থানা- পুলিশ বিরক্ত হয়ে পড়েছে।

    এমন পরিস্থিতে সম্প্রতি দু”পক্ষই পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশের নির্দেশে জীবননগর থানা-পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দু” পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিস্পত্তি করতে সম্প্রতি সরজমিনে উপস্থিত হয়ে এলাকা গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বসেন এবং এক পর্যায়ে বিরোধ নিস্পতির লক্ষ্যে পৌছান। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় আজিজুল গাইন,তার স্ত্রী-কন্যা খেদেনা খাতুন বরাবরের মত থানায় গিয়ে জানায় তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করা হয়নি,তাই তারা সালিসি সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নয়।

    উদ্দিন বলেন,থানা- পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যান- মেম্বার ও এলাকার গন্যমান্য মানুষের উপস্থিতিতে জমি মাপজোক হয়। বিরোধ নিস্পত্তির জন্য সবার কথা মত তিন ফুট জমি ছেড়ে দেয়ার পরও আজিজ গাইনের বউ,মেয়ে ও নাতনি আমাদেরকে প্রতিদিন অকথ্য ভাষায় হালিগালাজ করতে থাকে এবং আমাদের সীমানায় বেড়া নির্মানে বাঁধা দেয়।

    এই অবস্থায় বুধবার সকালে থানা পুলিশ আমাদের উভয়পক্ষকে থানায় ডাকে। আমরা সেখানে যাই এব্রং আজিজুল গাইন,তার স্ত্রী- কন্যা ও নাতনি আনিকা ও যায়। সেখানে উভয়পক্ষের কাছে সব কিছু শোনার পর সরকারী আমিনের মাধ্যমে জমি মাপজোকের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মেনে আমরা বাড়ী যাওয়ার জন্য থানার গেটে দাঁড়িয়ে থাকা কালে আজিজুলের স্ত্রী আয়েশা রেগে বলে আমরা আর কোন মাপে যাব না,বেশী বাড়াবাড়ি করলে উপযুক্ত মেয়ে( নাতনি) এনেছি কি জন্য?

    দরকার হলে মেয়ে দিয়ে পুলিশ- টুলিশ সবার নামে মামলা দেব বলে তার মেয়ে- নাতনিকে টানতে টানতে নিয়ে যায়। তাদের এমন হুমকিতে সেখানে থাকা দোকানে বসা লোকজন হতবাক হয়,আবার অনেকে প্রতিবাদও করে।
    প্রত্যক্ষদর্শী থানার সামনে দোকানি আনোয়ারা ও লিটন এবং বক্তিয়ার হুমকির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হুমকি ধামকীর ব্যাপারে আমরা সবাই প্রতিবাদ করলে ওই মহিলারা চলে যায়। তারা পুলিশও মানছে না।

    সীমান্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম ও সাজু বলেন,আজিজুল গাইনের স্ত্রী- মেয়ে সমাজ মানে না,আইন মানে না। তারা যা বোঝে সেটাই সঠিক মনে করে। তাদের বিচার সালিস করতে করতে গ্রামের মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে,তাদের নিয়ে আর কেউ বসতে চায় না। সারা গ্রামের মানুষ একদিকে,তারা একদিকে।
    সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন ময়েন বলেন,আজিজুল গাইনের বউ- মেয়ে খুব খারাপ।

    তারা থানা পুলিশ,গ্রামের মানুষ ও জনপ্রতিনিধি কিছুই মানতে চান না। সলেমানদের সাথে তাদের জমি নিয়ে যে বিরোধ তা আমরা জনপ্রতিনিধি,গ্রামের গন্যমান্য লোকজন ও পুলিশের উপস্থিতিতে মাপজোক হয়। সেখানে আমরা সঠিক মাপের পরও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সলেমানদের বৈধ তিন ফুট আজিজুল গাইনদের দিয়ে বিরোথ নিস্পত্তি করি।

    কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই আজিজুল গাইনের বউ- মেয়ে সালিসের সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে। এখন আবার তারা নানা টালবাহানা শুরু করেছে। আমার মনে হয় আজিজুলের বউ- মেয়েকে বুঝাতে পারে এমন মানুষ থুলনা বিভাগে নেই।
    জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন,আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দু”বিরোধ নিস্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আজিজুল গাইনদের এ সামাজিক ব্যবস্থা কোনটাই মানতে চায়

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ