• আইন ও আদালত

    জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রভাবশালীদের রোষানলে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ২ কর্মকর্তা

      প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ৮:৩৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এটা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে হবিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, মাদক চোরা চালানের খবর পেলেই ব্যবস্তা নেয়া হয় এরই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৭ নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের রশিদপুর বাজারে গাত ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে।

    জুতা ও কাপড় ব্যবসায়ী অজয় পালের দোকান থেকে ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ইন্সপেক্টর মোঃ এমদাদু্ল্লাহ। রশীদপুর বাজার কমিটির সেক্রেটারী হারুনুর রশীদ ও এই বাজারের ব্যবসায়ী আাহাদ মিয়া এবং এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে অজয় পালের দোকান তল্লাশী করে একটি প্লাস্টিকের কৌটার ভেতর থেকে ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এবং অজয় পালকে গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ বাহুবল থানায় হস্তান্তর করা হয় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

    এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত (১৫ এপ্রিল) রশিদপুর বাজরে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (আবঃ) সার্জেন্ট নজরুল ইসলাম রানু এবং ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান এর উপস্থিতিতে হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম ও পরিদর্শক এমদাদুল্লার নাম দিয়ে একটি মানববন্ধন করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় কিন্তু অজয় পালেকে গ্রেফতারের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন না সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম।

    এলাকাবাসীদের সূত্রে জানা যায়, অজয় পাল এবং তার ভাই দের সাথে দীর্ঘদিন ধরে শ্মশানের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে ৭ নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা, শফিক, মাসুক, ছুরুক, পেয়ারা, ইউনুস ও কিবরিয়া এবং হনুফা আক্তার দের সাথে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও রয়েছে বাহুবল থানায় এলাকাবাসীর ধারণা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আক্রোশ মেটাতে অজয় পালের দোকানে আগে থেকে কেউ ইয়াবা রেখে গিয়েছিল পরে খবর দিয়ে গ্রেফতার করানো হয় তাকে কিন্তু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কেউ এই ইয়াবা রাখেনি বলে জানা যায়।

    এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম বলেন গত ১০ এপ্রিল আমি আইনশৃঙ্খলা মিটিং শেষে চাঁদাপুর চলে যাই সাক্ষী দিতে তবে শুনেছে আমার উপস্থিতিতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার কারা হয়েছে এ নিয়ে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে কিন্তু আমি অফিসে ছিলাম না এমনকী মাললার সম্পর্কেও জানতাম না কিছু একটি স্বার্থপাগল মহল আমাকে জড়িয়ে মিথ্যচার চালিয়েছে বলে জানানা তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ