• Uncategorized

    ছাড় পত্রহীন কাঠ ব্যবসায়ীদের দখলে মহাসড়কের দু’ পাশ

      প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২১ , ৩:২৯:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    শ্রীনগর উপজেলা জুড়েই ঢাকা-দোহার মহাসড়কের বাঘড়া এলাকার দু,পাশে এক শ্রেনীর অসাধু কাঠ ব্যাবসায়ীরা আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘর্দিন ধরে মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র গাছের গুঁড়ি রাখছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কে এভাবে কাঠ রাখার কারণে দূরপাল্লার পরিবহনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। জন সচেতনার অভাবে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারিরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আবার প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার অভিযোগ করেও আজানা কারণে আজ পর্যন্ত কোনো কিছু মানা হয়নি। যত্রতত্র কাঠ রাখায়, ঘটছে দুর্ঘটনা। খালি হচ্ছে মায়ের কোল, পঙ্গুত্বের জীবন নিয়ে অনেকের পথ চলতে হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করেছে।

    বিশেষ করে ঢাকা-দোহার মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাস্ততম রাস্তার দু,পাশে অসাধু ব্যবসায়িরা গাছের বড় বড় গুড়ি ফেলে রেখে ব্যবসা করছে। সর্বসময় মহাসড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধোরে বড় বড় কাঠের গুড়ি ট্রাকে তোলা হয়। এত করে যানজটের সমস্যা হয়। এসব প্রতিরোধের জন্য কোন প্রকার ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা জানান। ব্যাবস্থা না নেয়ার কারনে অসাধু কাঠ ব্যবসায়িদের কোন প্রকার থামানো যাচ্ছে না। এমনকি এরা সরকারি নিয়ম ও আইন কে তোয়াক্কা করছে না। সড়কের পাশে কাঠ ব্যবসায়িদের কোন জায়গা নাই ,কাঠ ফেলে রাখা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে। সড়কের পাশে কাঠ রাখার কারণে পচ চারিদের যাতায়াত করতে মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার সড়কের উপরে দাঁড় করিয়ে ট্রাকে কাঠ তোলা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তখন যানজটের কারণে গাড়ির লাইন পড়তে থাকে।

    উপজেলার আমজনতা বলছেন একটু নজর দিলে অসাধু কাঠ ব্যবসায়িরা মহা সড়কের পাশে গাছ রাখা বন্ধ করে দিবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো ভুমিকা না থাকার কারণে ব্যবসায়িরা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। একাধিক কাঠ ব্যবসায়িদের নিজস্ব কোন ঘর বা জায়গা নেই। তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে কাঠ রেখে ব্যবসা করছে। সড়কের পাশে গাছ রাখার কারণে রাতে নেশা সেবন কারিরা কাঠের উপরে বসে বসে নেশা সেবন করে। সড়কের দু,পাশে আবাসিক এলাকা। নেশার গন্ধে চলাচল করা লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।

    সব মিলিয়ে উপজেলা প্রশাসন একটু নজর দিয়ে বিষয়টি আমলে নিলে পরিবেশ ভাল হত ও মহাসড়কের দু,পাশ পরিস্কার হত বলে আশাকরেন স্থানীয়রা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ কাঠের মিল। আর কাঠের মিল গুলো সবই আবাসিক এলাকার মধ্যে বসিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঠ কাটা হয়। এতে করে পরিবেশের মারাত্বক সমস্যা হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ