শাহ সাহিদ উদ্দিন-কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে যাত্রা শুরু করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। মাত্র ১৪জন তরুণ নিয়ে প্রথম গঠিত হয় ছাত্রলীগ। সেই সময়ের প্রয়োজন মেটাতেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও রক্তে গড়া একটি সংগঠন। ছাত্রলীগের মধ্যে জাতীয়তাবোধ, মানবতাবোধ, দেশপ্রেমসহ সব মানবীয় গুণাবলির চর্চা থাকতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন, দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারা বাংলার আলোড়ন সৃষ্টিকারী যিনি দেবীদ্বার আপামর জনতার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন যিনি দেবীরদারের সাধারণ মানুষকে দিতে এসেছেন জননেতা মো. আবুল কালাম আজাদ।

দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুমিল্লার উত্তর জেলা ছাত্রলীগ-এর উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয় মো. সাইফুল ইসলাম রুবেলের সঞ্চালনায় মো. মহি উদ্দিন সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম সারোয়ার হাসান চিনু, দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. হুমায়ন কবির, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহীন সরকার, সাইফ জলিল অনি, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনুপম দেবনাথ আদিত্য,সারোয়ার হোসেন রাকিব,দেবীদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আসাদুর রহমান রনি, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মহিউদ্দিন সবুজ,ইমরান আরেফিন ইমু,গাজী আসিফ বিন লতিফ, মো আল আমিন, মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম তুহিন,সাধারণ সম্পাদক মো হাফিজ খান সহ বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ যে উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণ করছে। তাঁর অদম্য নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা ও দারিদ্র। ইতোমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে। এসব উন্নয়ন ছাত্রলীগকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাশে থেকে কাজ করতে হবে। পরে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।