• আইন ও আদালত

    ছাত্রলীগের মামলায় বিএনপির ৮ নেতা কর্মী গ্রেফতার

      প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:৪০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি:

    গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৯ নভেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হাসানের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আট নেতাকর্মীকে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় আসামি না পেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।

    তবে পুলিশ বলছে, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে পুলিশ আইন মেনেই অভিযান চালাচ্ছে। এ গ্রেপ্তারি অভিযান চলবে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সদস্য নুরে আলম মেম্বার, গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহীদ হাজী, রাজাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ইব্রাহীম মিয়া, রফিক মিয়া, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, শ্রমিকদল নেতা মোখলেস ব্যাপারী ও যুবদল কর্মী দুলাল হোসেন, সোলেমান হোসেন।

    শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। শ্রীপুর থানা মামলা নম্বর ৩৬ যা ১৪৩ ও ৩২৩ পেনাল কোডে মামলাটি রুজু করা হয় ২৯ নভেম্বর বিকেলে। মামলার তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছিল, মামলার বাদী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হাসান পৌর এলাকার গিলারচালা গ্রামে সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বিশ্বকাপের ফুটবল খেলা দেখা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন।

    এ সময় তার সঙ্গে ১২ থেকে ১৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছিলেন। রাত ১১টা দিকে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের গিলারচালা মাস্টারবাড়ি এলাকায় জমজম সুপার মার্কেটের সামনে আসতেই তাদের লক্ষ্য করে ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী ককটেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বেশ কটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই সঙ্গে তাদের বেদম মারধর শুরু করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।

    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ৫টি ককটেল, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। এ দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মামলার বিষয়ে বলেন, এটা মিথ্যা বানোয়াট একটি হয়রানিমূলক মামলা। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের আতঙ্কে রাখতেই এ মামলাটি করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম রিফাত মোড়ল বলেন, আমাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালানোর সময় পুলিশের তিনটি গাড়িতে অন্তত ২০/২৫ জন সদস্য ছিল।

    পরে অভিযান চালানোর সময় আমার বাবাকে ফোনে গালিগালাজ করেছে। অপরদিকে বাড়িতে থাকা আমার চাচাদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছে পুলিশ। শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম জানান, এটা মিথ্যা বানোয়াট মামলা। আমাদের বহু নেতাকর্মী আসছে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেশ সক্রিয় হচ্ছে এ দেখে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সমাবেশ বানচাল করতে আর তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াতে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর মামলার পর থেকে নেতাকর্মীরা পলাতক রয়েছে। এরই মাঝে বেশ কজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, পুলিশ যথাযথ আইন মেনেই গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ