• Uncategorized

    চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশের উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য গায়েব

      প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২০ , ৫:৪৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    দর্শনা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য গায়েব করার অভিযোগ

    মাদক নির্মূলের নামে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের বেশীরভাগই গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার  সকালের দিকে।

    জানা যায়, গত মঙ্গলবার(১১ই আগস্ট) সকালের দিকে দর্শনা থানার ওসি মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে থানার বিতর্কিত এএসআই মহিউদ্দিনসহ পুলিশের একটি টিম দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃঞ্চপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সুলতানপুর গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

     

    এ সময় সুলতানপুর মসজিদপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আশরাফুল হকের কাঠের আড়তের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সেখান থেকে কাঠের তৈরী একটি মিনার জব্দ করে পুলিশ।  পরবর্তীতে মিনারটি মৃত সামছদ্দিন ওরফে সামুর ছেলে আজিম উদ্দিনের বাড়ির মধ্যে নিয়ে যেয়ে মিনারটি ভেঙে তার মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ (পাঁচ) কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা।

     

    এরপর পুলিশ একই এলাকার মৃত আনছার আলীর ছেলে আনোয়ারের বাড়ির ছাদের খড়ির গাদা থেকে কয়েক পুটলা গাঁজা উদ্ধার করে যার প্রত্যেক পুটলায় ১ কেজি করে গাঁজা ছিলো বলে স্থানীয়রা জানায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আনোয়ারকে। পরবর্তীতে একই এলাকার উঠতি পাড়ার লিয়াকত আলীর ছেলে মহির ও দিন মোহাম্মদের ছেলে হাকিমকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে কয়েক পুটলা গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে ওইদিন মঙ্গলবার আনুমানিক ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হলেও জব্দ তালিকায় ২ কেজি গাঁজা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গাঁজাসহ আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারকে ছেড়ে দিয়েছে দর্শনা থানা পুলিশ। অপর দুই আসামিকে ২ কেজিসহ গ্রেফতার দেখানো হয়।

     

    বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত গাঁজার বেশীরভাগই হাত বদল হয়ে চলে গিয়েছে পুলিশের সোর্স নামধারী এলাকার বহু অপকর্মের হোতা বিতর্কিত ব্যক্তি মুনছুর আলী ও তার ছেলে রমজানের দখলে।

     

    মাদক নির্মূলের নামে দর্শনা থানা পুলিশের এ ধরনের কাজকে ঘৃণার চোখে দেখছে স্থানীয় সুধীসমাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেছেন মাদক নির্মূল করতে যেয়ে তারাই যদি মাদকদ্রব্য হজম করে ফেলে তাহলে দর্শনা থানা এলাকা কোনদিনই মাদকমুক্ত হবেনা। তাছাড়া মাদক উদ্ধার করে পুলিশ যদি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছেই সেসব মাদকদ্রব্য বিক্রি করে তাহলে তারা তো আরও সাহস পেয়ে যাবে,মাদক নির্মূল করাতো দূরের কথা,তাদের কে আরো উৎসাহ দিচ্ছি প্রশাসন। এ ব্যাপারে দর্শনা থানার ওসির সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু ওসি ফোন রিসিভ করে নাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ