চাল ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত চাল রপ্তানিতে শুল্ক্ক বসিয়েছে। এতে কমে যাবে আমদানি। এ কারণে দেশের বাজারে প্রভাব পড়েছে। আর ডিম ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন বৃষ্টিকে। তাঁদের মতে, বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ডিমের দাম কমে আসার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও চালের ক্ষেত্রে তেমন আভাস মেলেনি।মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের চালের (৫০ কেজি) বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। খুচরায় বেড়েছে প্রতি কেজিতে দুই টাকা করে। একইভাবে কয়েক দিন বিরতি দিয়ে ডিমের ডজনেও বেড়েছে ১০ টাকা।
কিছু সিন্ডিকেট ও মজুতদারের কারণে চালের বাজার অস্থির হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ আর খান পাঠান সাকি। তিনি বলেন, মিলগেট থেকে কয়েক হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছায় চাল। এই হাতগুলোর মধ্যেই দামের কারসাজি হয়ে থাকে। চালের মতো ডিমের দামও বাড়ছে। মাসখানেক আগে দাম বেড়ে ডিমের ডজন ১৬০ টাকায় ঠেকেছিল। এরপর তা কমতে শুরু করে। একপর্যায়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে তা নেমে আসে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
গত ১০ থেকে ১২ দিনে দুই দফা দাম বেড়ে এখন ফার্মের ডিমের (বাদামি) ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।
তবে ফার্মের সাদা ডিমের ডজন ৫ টাকা কমে কেনা যাচ্ছে। হাঁসের ডিমের দামও বেড়েছে। এক ডজন হাঁসের ডিম কিনলে গুনতে হবে ১৮০ থেকে ২১০ টাকা। মালিবাগ বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু বলেন, তিন দিন ধরে টানা বাড়ছে ডিমের দাম। প্রতিদিনই নতুন দর দিচ্ছেন পাইকাররা। এ কারণে গত দুই-তিন দিনে খুচরায় ডজনে দাম বেড়েছে ১০ টাকার মতো।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। তা ছাড়া বৃষ্টির কারণে অনেকেই বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যেতে পারেননি। ফলে ডিমের ওপর নির্ভরশীলতা কিছুটা বেড়েছে। এতে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দামে। তবে বাড়তি এই দর বেশিদিন থাকবে না। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই দাম কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.