• Uncategorized

    চাল চুরিতে বাধা দেওয়ায় অপপ্রচার! শাহ আলম চেয়ারম্যানের বক্তব্য

      প্রতিনিধি ৮ এপ্রিল ২০২১ , ২:০৮:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

    চাল চুরি করতে না পেরে সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ স্থানীয় মেম্বারের বিরুদ্ধে। জানা যায় কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নে ভিজিএফ এর কার্ডের চাল চুরি করতে না পেরে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ জাহান এবং সংরক্ষিত( ৪,৫,৬) মহিলা সদস্য জৈনাব বেগম। আজ বেলা ১১ টার সময় সংবাদ সম্মেলন করেন মেম্বার শাহজাহানসহ দুই মেম্বার।

    এ ব্যাপারে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন”আমি সুদীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে সচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। গতবার ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ জাহানকে বয়স্ক ভাতা, ভিজিএফ ও বিধবা ভাতার কার্ড গরিব অসহায়দের তালিকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিই কিন্তু তিনি সবারথেকে গোপনে টাকা নিয়ে প্রভাবশালীদের কার্ডগুলো বিতরন করেন।

    সেরকম চুরি ঠেকাতে এবার আমি নিজেই মাঠে নেমে অসহায়দের তালিকা প্রস্তুত করেছি । যাদের তালিকা করেছি তাদের কাছে একটা টোকেন আকারে কার্ড দিছি যেটা দেখিয়ে আসল ভিজিএফ এর চালের কার্ড নিতে পারে। দেশে লকডাউনের কারনে সেই কার্ডগুলো বিতরন করা হইনি। অসহায়দের জন্য যে তালিকা প্রস্তুত করেছি লকডাউনের কারনে সেবা বন্ধ আছে পরবর্তী এই কার্ডের চাল বিতরন করা হবে।

    এব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার নিজাম উদ্দিনেন সাথে পরামর্শ করে কিভাবে অসহায়দের হাতে সেই ত্রান পৌছে সে হিসেবে প্রতিটা ওয়ার্ডে নিজ হাতে মানুষের নাম সংগ্রহ করেছি। কিছু কুচক্রী মহল আমার কাজের উন্নয়নের জোয়ার দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে আমার উপর ওঠেপড়ে লেগেছে। ৯ জন মেম্বার ৩জন মহিলা এবং একজন চেয়ারম্যান নিয়ে একটা ইউনিয়ন পরিষদ গঠন হয়।

    অথচ ৭ জন মেম্বারকে বাদ দিয়ে কিরকম অপপ্রচার করতে তারা সংবাদ সম্মেলন করে। তাদেরকে অতিতেও অনেক বার ইঙ্গিত দিয়েছি তারা যেন অসহায়দের থেকে কোন ধরনের টাকা লেনদেন না করে সচ্ছভাবে কার্ডগুলো বিতরন করেন। কিন্তু সেই মেম্বার শাহজাহান ও মহিলা মেম্বার জৈনাব বেগম অসহায়দের বাদ দিয়ে প্রভাবশালিদের থেকে টাকা গ্রহন করে কার্ডগুলো বিতরন করেন। ভিবিন্ন এনজিও আমাকে সম্মান করে গরিবদের সাহায্যে কিছু ত্রান আমাকে দিয়ে বিলি করেন।

    আমি অসহায়দের খোজে খোজে সেই ত্রান বিলি করেছি। পরিবারের দিকথেকে আমার পরিবার কিরকম সেটা সবাই জানে। আমার বড়ভাই এটিএম জাফর আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ। বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন হওয়ায় ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে প্রথমে তাকে হত্যা করে। আমরা আমার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসি। তাই বিএপিরথেকে নির্বাচিত হওয়া মেম্বার শাহজাহান আমাকে হেয় করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

    আমার আরেক বড়ভাই শফিউল আলম সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব ছিলেন কেউ কোনদিন দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। বর্তমানে আমার ভাই বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহি পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেতেছেন। আমি নিজেও উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। জননেত্রি শেখ হাসিনার উন্নয়ন ঘরেঘরে পৌছানোই আমার লক্ষ্য। অতিতে যদের দিয়ে ভিবিন্ন ভাতা বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, পঙ্গুভাতা, ভিজিএফ এর ভিবিন্ন কার্যক্রমে ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ৪.৫.৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জৈনাব বেগমকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম।

    তারা অসহায়দের হাতে সেসব কার্ড না দিয়ে মোটা টাকা নিয়ে অন্যত্রে বিলি করে দেন। তাদের সীমাহীন দুর্নীতি আমার চোখে পড়ে এবং ভিবিন্ন জন আমাকে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেন। আমি তখনথেকে লক্ষ্য করে রাখছি তাদের অতিতের মত এবার চাল চুরির সুযোগ দেবনা বলে সংকল্প করেছি। চেয়ারম্যান আরও জানান আমরা ৭ জন মেম্বার একত্র হয়ে বিএনপির নাশকতার প্রথম পরিকল্পনা যে অপপ্রচার সেটা রুখে দেব। জনগনকে সাথে নিয়ে এবার অসহায়দের তালিকা করে সরকারি ভাতা প্রদান করব তবুও শাহজাহান এবং জৈনব বেগমের মত চাল চুর দুর্নীতিবাজদের ঠাই হলদিয়া পালং ইউনিয়নে হতে দেবনা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ