• আইন ও আদালত

    চার মাসে একই ব্যক্তিকে দু’টি বাল্যবিয়ে দেবার অভিযোগ ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে

      প্রতিনিধি ৪ ডিসেম্বর ২০২২ , ১:০২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাকিল হোসেন-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গত চার মাসে একই ব্যক্তিকে দুইবার বাল্যবিয়ে দেবার অভিযোগ ও পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) নাম ভাঙিয়ে অর্থের বিনিময়ে বাল্যবিয়ে দফারফা করার অভিযোগ উঠছে এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগ ওঠে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ৭নং পাটিচরা ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মো: ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নাবালিকা মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আব্দুল মালেক এর নাবালিকা মেয়ে মোছা: আশা খাতুন (১২ ) এর সাথে একই এলাকার জামাল উদ্দীনের ছেলে মো: মানিক হোসেন (২৬) এর সাথে গত ১৭ জুন ২০২২ খ্রি: স্থানীয় মৌলভী দ্বারা এই বাল্যবিয়ে সম্পূর্ণ হয়।এ বাল্যবিয়ের পরপরই ওই ওয়ার্ড মেম্বার মো: ইউসুফ আলী আশা খাতুন এর বাবা আব্দুল মালেক কে জানায়, তার নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বিষয়ে এবাদত আলী নামে একজন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেছেন।

    যে কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( সাবেক ) মো: লিটন সরকার সত্যতা যাচাই- বাছাই এর জন্য তার ( মেম্বার ) উপর দায়িত্ব প্রদান করেছেন। মেম্বার ইউসুফ আলী মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক কে বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি দেখান যে, আপনি তো আইনী ভাবে ফেঁসে গেছেন। কারণ আপনি নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় মেয়ের বাবা আব্দুল মালেক মেম্বার মো: ইউসুফ আলীর কাছে এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের উপায় জানতে চার। তখন মেম্বার ইউসুফ জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে ( সাবেক ) ১০ হাজার টাকা দিতে পারলে তিনি সমস্যাটি সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

    আইন আদালতের ভয়ে আশা খাতুনের বাবা আব্দুল মালেক এক প্রকার বাধ্য হয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে দেবার জন্য মেম্বার ইউসুফ আলীর চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পাত্র মানিক হোসেনের বাবা মা বলেন, প্রায় চার মাস আগে আব্দুল মালেক এর মেয়ে আশা খাতুনের সাথে আমার ছেলে মানিক হোসেন এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর আশা খাতুন আমাদের ছেলের সাথে কথা বলেনা। তার সাথে থাকেনা। যার কারণে আমার ছেলে মানিক হোসেন কে মেম্বার ইউসুফ আলীর সহযোগীতায় মোবারকপুর গ্রামের হেলাল হোসেন এর মেয়ে মোছা: খুশি বানু সাথে বিয়ে দেই।

    মানিক হোসেন এর দ্বিতীয় স্ত্রী খুশি বানুর বয়স জানতে চাইলে ছেলে মানিক হোসেন এর মা বলেন, আমার এই বউমার বয়স ১৪ বছর। এবিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বলেন, মেম্বার ইউসুফ আলী একজন জনপ্রতিনিধি। তাহলে তিনি কিভাবে এই চার মাসে একই ব্যক্তির দুটি বাল্যবিয়ে সম্পূর্ণ করে। এভাবে যদি একজন জনপ্রতিনিধি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলে তাহলে আমাদের সমাজে বাল্যবিয়ে কোনদিন প্রতিরোধ করা সম্ভন না।

    অভিযোগের বিষয়ে মেম্বার ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেন।
    এবিষয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: রুমানা আফরোজ বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ