টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. খলিল (৩৫)। তিনি উপজেলার ডুবাইল আটাপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক ছিলেন।

এলাকাবাসী  জানান, আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী রকিবুল হক ছানার নির্বাচনী প্রচারণায় জেলা আওয়ামী লীগের একটি দল সন্ধ্যার দিকে গোপালপুর পৌঁছান। তারা থানার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন ও তার সমর্থকরা ওই এলাকায় আসেন।

এসময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা হয়। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা ওই এলাকায় নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনি অফিস ভাংচুর করে।

পরে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা গিয়াস উদ্দিনের বাসায় হামলা করে। তারা গিয়াস উদ্দিনের ভাইয়ের দোকানও ভাংচুর করে। গিয়াস উদ্দিনের গ্রাম ডুবাইল এলাকায় এ হামলার খবর পৌছার পর সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। তার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে রওনা হন।

পথে সোমেশপুর এলাকায় তাদের উপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা হামলা করে। এসময় খলিল নামক এক ব্যক্তি মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন।গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলীম আল রাজি জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে খলিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পরেই তার মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে আরেকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মোশাররফ হোসেন (ওসি)জানান, লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এ ঘটনায় রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। গোপালপুর পৌর এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,   আগামী ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হক ছানা। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার গিয়াস উদ্দিন। এছাড়াও বিএনপি প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।