• Uncategorized

    গাবতলী এখন সিসি ক্যামেরার  আওতাভুক্ত 

      প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২০ , ১:৪৯:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    সাদ্দাম হোসেন মুন্না-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, ফতুল্লা থানার গাবতলী সমাজ উন্নয়ন সংসদ এলাকায় সিসি ক্যামেরার যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তাতে ওই এলাকায় অপরাধ অনেক কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

    কারণ বর্তমান যুগে অপরাধ ধমনে সিসি ক্যামেরার কোনো বিকল্প নেই। আপনারা দেখছেন দেশে অনেক অপরাধীকেই সহজে ধরা সম্ভব হচ্ছে সিসি ক্যামেরার কারণে। তাই আমি আহাবন জানাবো গাবতলী এলাকার মতো নারায়ণগঞ্জের অন্য সকল পাড়া মহল্লায়ও সিসি ক্যামেরার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হোক। তাহলে পুলিশের পক্ষ্যে অপরাধীদের ধরা সহজ হবে। তাই এভাবে সিসি টিভির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলায় আমি গাবতলী এলাকাবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    ১৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করেন।

    এ সময় গাবতলী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তার সঙ্গে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গাবতলী সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবন এবং উপস্থিত ছিলেন গাবতলী সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাবতলী এলাকায় অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন, দৈনিক শীতলক্ষার সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আরিফ আলম দীপু, দৈনিক সোজাসাপটার সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ, গাবতলী সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাজী আবদুল লতিফ, মাস্টার আবদুল হাসেম, স্থানীয় মেম্বার কামরুল হাসান এবং মহিলা মেম্বার রোজিনা আক্তার প্রমুখ।

    আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলী আকবর, রাজনীতিবিদ শাহিদুজ্জামান শাহিন, মাস্টার হেলাল উদ্দিন গাজী প্রমুখ।

    ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, এই সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক অপরাধীদের জন্য আতংক। কারণ যেকোনো অপরাধীকে ধরতে সিসি ক্যামেরার চেয়ে কার্যকর প্রযুক্তি আর নেই। অপরাধী যেই হোক কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমি আজ পরিস্কার ভাষায় বলে যেতে চাই গাবতলী এলাকায় যদি কেউ নূন্যতম কোনো অপরাধ করার দু:সাহস দেখায় তাহলে নূন্যতম কোনো ছাড় দেয়া হবে না। যেকোনো বিষয়ে আপনারা আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। আমি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

    আরিফ আলম দীপু বলেন ,আমার জানা মতে নারায়ণগঞ্জে একমাত্র গাবতলী এলাকাটিই সিসি ক্যামেরার আওতায় এলো। এটা যে কিভাবে অত্র এলাকায় অপরাধ দমনে সহায়তা করবে এটা আপনারা শিগগিরই বুঝতে পারবে। আমিতো মনে করে নারায়ণগঞ্জের সব এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হলে গোটা নারায়ণগঞ্জই নিরাপধ হয়ে উঠবে।

    আবু সাউদ মাসুদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি গাবতলী এলাকায় অনেক অপরাধী ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গাচ্ছে। কিন্তু আমরা পত্রিকায় রিপোর্ট করার পর প্রমাণ পেয়েছি ওসমান পরিবার কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না। কিছুদিন আগে জাহিদ নামে এক অপরাধী ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে অত্যাচার শুরু করেছিলো।

    আমরা পত্রিকায় রিপোর্ট করার পর জানতে পারলাম আসলে ওসমান পরিবার তাকে চিনেও না। শামীম, আজমেরী ও অয়নের নাম ভাঙ্গানো হয়েছে। অথচ তারা তাকে চিনেই না। পরে এই পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হলো কোনো সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেন না তারা। কেউ তাদের নাম ভাঙ্গালে যাতে আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়। তাই আমি আজ পরিকস্কার ভাষায় বলে যেতে চাই কেউ যদি ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো অপরাধ করে তাহলে আমরা তাদেরকে এক চুলও ছাড় দেবোনা। পত্রিকায় রিপোর্ট হবে এবং আশা করি পুলিশ প্রশাসনও কঠোর ব্যাবস্থা নেবেন।

    সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, আজকের এই সিসি ক্যামেরার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য আমি পুলিশ সুপার, ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সম্পাদক আরিফ আলম দীপু, সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ, মেম্বার কামরুল হাসান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের সকলের অনুপ্রেরনায় অত্র এলাকায় এমন একটি নেটওয়ার্র্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ