সাগর আহম্মেদ-পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবেই এমনটি ঘটেছে। বিষয়টি অলৌকিক বলে মনেও করছেন অনেকে। প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টিকে তাদের কাছে নতুন বলে জানিয়েছেন। জেলার সদর উপজেলার চকচকা গ্রামে এমন একটি পাঁঠার সন্ধান পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গরু ব্যবসায়ী মোনারুলের বাড়ির পাশেই একটি বাগানে গাছের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে পাঁঠাটি। সেটি দেখতে ভিড় করছে মানুষ। উপস্থিত জনতার সামনে মালিক পাঁঠার বাট থেকে প্রায় আধা লিটার দুধ দোহন করেও দেখালেন।
স্থানীয়রা জানান, তারাও প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি। পরে নিজ চোখে দেখার পর বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছেন।
পাঁঠাটির দুধ পান করেছেন এমন একজন, জানান দেখতে গাভির দুধের মতো। খেতেও সুস্বাদু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পাঁঠাটির মালিক মোনারুল মিয়া একজন গরু ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ব্যবসার কাজে একবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে গিয়েছিলাম। সেখানে পথের ধারে এক বৃদ্ধার কাছে পাঁঠাটিকে দেখতে পাই। পরে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে পাঁঠাটি কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি।
মোনারুলের দাবি, ‘পাঁঠাটি প্রতিদিন আধা লিটার করে দুধ দেয়।’ তিনি বলেন, এটা দিয়ে আবার বীজও দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান বলেন, পাঁঠা দুধ দেয় বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। এটি হরোমনজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে। পাঁঠাটি বীজ দেওয়ার কাজে ব্যবহার এবং একইসঙ্গে দুধ দেওয়ার বিষয়টি একেবারে নতুন। তবে এ দুধ স্বাস্থ্যসম্মত এবং খাওয়ার উপযোগী কি না তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.