• কৃষি

    খরায় পুড়ছে পাট চাষিদের স্বপ্ন

      প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২২ , ৪:৫৪:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রখর রোদ অতিরিক্ত খরায় ভ্যাপসা গরমে বৃষ্টির দেখা নেই। নাটোরে লালপুরে বিভিন্ন যায়গায় পাট,ধান ও বিজতলা নিয়ে বিপকে কৃষকরা। তীর্ব তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে লালপুরে পুড়ছে পাটক্ষেত। তপ্ত খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। মাটি ফেটে চৌচির। ফলে পাটচাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ, বাংলার সোনালি আঁশ এখন কৃষকের গলার ফাঁস। উপজেলার লালপুর, ঈশ্বরদী, চংধুপইল, আড়বাব, বিলমাড়ীয়া, দুয়ারিয়া, ওয়ালিয়া, দুড়দুড়িয়া, অর্জুনপুর/

    বরমহাটী এবং কদিমচিলান ইউনিয়নে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ার মাঠের পাট মাঠেই পুড়ছে। বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতিতে চলতে গ্রীষ্মের তাপদাহ। পাট কাটার সময় পার হতে চললেও অনেক কৃষক পাট না কেটে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকে কেটেও পানির অভাবে জাগ দিতে না পেরে জমিতে স্তুপ করে রেখেছেন। শুকনো পুকুর-নর্দমায় মাটি দিয়ে দাবাই রেখেছে , অনেক কৃষক পুকুর বা ছোট জলাশয়ে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। নিশ্চিত লাভ জেনেও প্রকৃতির বিরুপ আচরনে কৃষকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।

    বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের মাহরাজপুরের নছিম উদ্দিন বলেন, এবছরে আমার ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ রয়েছে। পাটের ফলন ৫০ হতে ৬০ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বাজারে দামও ভালো না। আমি পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি। বাড়ীর পার্শে পুকুরও শুকিয়ে গেছে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হবে।

    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রশারণ কর্মকর্তা মোঃআরিফুলজ্জামান বলেন, উপজেলায় পাট চাষ এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। মাঠে পাটের অবস্থাও ভাল। এখন পাট কাটার সময় চলছে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে কৃষক পাট নিয়ে হতাশায় রয়েছেন। মৃদু তাপদাহ চললেও আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। আমরা কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এতে যেমন খরচ কম তেমনি পাটের মানও ভালো থাকে।

    উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা সবুজ সাহেব বলেন, এ বছর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসাভা এলাকায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৪শত ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ