সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন খুলনার মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মীম। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ায় তাকে নিজেদের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছে তিনটি কোচিং সেন্টার।রেটিনা, মেডিকো এবং উন্মেষ তাদের কোচিং সেন্টারের ফেসবুক পেজ থেকে মীমকে নিজেদের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছে। কোচিংগুলোর দাবির বিষয়ে ফেসবুকে অনেকেই নানা মন্তব্য করছেন।
মীমের সাফল্যে যখন কোচিংগুলো তাকে নিজেদের শিক্ষার্থী বলে দাবি করছে, তখন মীম জানালেন ভিন্ন কথা। সুমাইয়া মোসলেম মীম আলোকিত ৭১ সংবাদ কে বলেন, আমি অবশ্যই ডিএমসি স্কলার কোচিংয়ের শিক্ষার্থী। এখানে ছাড়া আর কোথাও আর অন্য কোনো কোচিংয়ে ক্লাস করিনি। উন্মেষ এবং রেটিনা কোচিংয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছি। ডিএমসি স্কলারের ডা. সিয়াম ভাইয়া আমাকে লেখাপড়ার বিষয়ে গাইড করেছেন।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কলেজশিক্ষক মোসলেম উদ্দীনের মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মীম। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তিনি। খুলনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছিলেন মীম। লিখিত পরীক্ষায় ৯২ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। সবমিলিয়ে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ২৯২ দশমিক ৫।
জানা গেছে, দুই বোনের মধ্যে মীম ছোট। তার বাবা মোসলেম উদ্দীন সরদার ডুমুরিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং মা খাদেজা খাতুন যশোরের কেশবপুর পাজিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট পদে কর্মরত। বড় বোন সাবিহা মোসলেম বৃষ্টি। মীমের লেখাপড়ার জন্য দুই বছর তারা খুলনা মহানগরীর মৌলভীপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। মীমের মা খাদেজা খাতুন বলেন, ডা. সিয়াম স্যার আমাকে বলে- আপা, মীমকে আমার ওখানে পাঠিয়ে দেন, সে ভালো করবে। তার কথা আজ সত্য হয়েছে। মীম আজ ভালো রেজাল্ট করেছে।
যা আমি প্রত্যাশা করিনি। আল্লাহ আমার ইচ্ছাপূরণ করেছেন।
মীমের বাবা মোসলেম উদ্দীন সরদার আলোকিত ৭১ সংবাদ কে বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে গ্রাম থেকে উঠে আসা আমার মেয়ে আজ দেশসেরা হয়েছে। ডুমুরিয়ায় আমার গ্রাম। সেখান থেকে নগরীতে এসে কোচিং করিয়েছি। ডিএমসি স্কলার কোচিংয়ে ডা. সিয়ামের তত্ত্বাবধায়নে সে লেখাপড়া করে। এছাড়া দু-একটি কোচিংয়ে সে পরীক্ষা দিয়েছে। একমাত্র ডিএমসি স্কলার কোচিংয়ের শিক্ষকদের প্রচেষ্টাতেই ভালো ফল করেছে সে।
ডিএমসি স্কলার কোচিংয়ের পরিচালক ডা. সিয়াম বলেন, একজন শিক্ষার্থী যদি ভালো ফলাফল করে সেটি আমাদের গর্বের বিষয়। আর যদি সেটা দেশে প্রথম হয়, তাহলে তো আরও গর্বের। এর আগেও ২০১৮ সালে আমাদের এক শিক্ষার্থী প্রথম হয়েছিল। ২০১৭ সালে লিখিত পরীক্ষায় আমাদের প্রথম হয়েছিল। গত সাত বছরে আমাদের তিন শিক্ষার্থী প্রথম হয়েছে। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী যখন ভালো করে, তখন সবাই কৃতিত্ব নিতে চায়। মীম শুধু ডিএমসি স্কলারের ক্লাস করেছে। আমার কাছে ব্যাচ করেছে। বাসায় তিন মাস এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পড়িয়েছে। মীম সাত মাস আমাদের কাছে পড়েছে। ডিএমসি স্কলার ছাড়া আর কোথাও মীম ক্লাস করেনি, এটি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারব। এটা মীম ও তার গর্বিত বাবা-মাও বলবেন। ডা. সিয়াম বলেন, কোচিংগুলো মডেল টেস্ট নেয়। মীম দু-একটি কোচিংয়ে মডেল টেস্ট দিয়েছে। তবে সেখানে শুধু পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস করেনি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.