আজ ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দিনটি বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ দিবসটি পালন করা হয়।  মানুষ ও পৃথিবী বাঁচাতে বন ও জীবিকা  এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় দিবসটি পালন করছে । বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে যথাযথ ভাবে দিবসটি পালন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। এরই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়াতে জীববৈচিত্র সংরক্ষন ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর সদস্য সংগঠন " মানুষ মানুষের জন্য" কুষ্টিয়ার উদ্যোগে  কুষ্টিয়ায় বিশ্ব বন্যপ্রানী দিবস-২০২১ উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টায় শহরের পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে র‍্যালী শুরু হয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে হাসপাতাল মোড়স্থ মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার অফিসের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে  বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিএফ) এর সহ-সভাপতি ও মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার পরিচালক দি ফক্স ম্যান খ্যাত শাহাবুদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিএফ) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এসআই সোহেল, ইমাম গাজ্জালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল,  বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিএফ) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ সভাপতি আকতার হায়দার, ওয়াহিদ লিটন, নির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব,মোস্তাফিজুর রহমান ভুবন, মোস্তফা আরিফুর জামান সুজন,ইউসুফ আহমেদ হৃদয়, সুমন শেখ। আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন,

মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়া ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিএফ) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ।আলোচনা সভায় বক্তার বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী। কিন্তু ক্রমাগত আবাসস্থল ধ্বংস, খাদ্যাভাব এবং অবৈধ শিকারের কারণে দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।  বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ, বিশ্ব জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোর মধ্যে পৃথিবীর ৫৬০তম ও বাংলাদেশের প্রথম রামসার সাইট সুন্দরবন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হাকালুকি হাওড়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল, লাউয়াছড়া উদ্যান, শালবন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সভায় বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইন ২০১২ এর সঠিক প্রয়োগ,পাঠপুস্তকে এর প্রয়োজনীয়তা অর্ন্তভুক্তকরন,বন্যপ্রানী বিষয়ে গবেষনা,বন্যপ্রানীর নিরাপদ প্রজন্নন ও আবাসস্থল এর ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।জানানো হয় যে, বন্যপ্রানীরা  আমাদের শত্রু নয় বন্ধু, তারা আমাদের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের গুরূত্বপূর্ণূ অংশ অতএব এদের সংরক্ষনে সরকারী সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আরিফ হোসেন, বিপ্লব খন্দকার, সিরাজ খালাসি, টুকু,মাধব, মন্ডল,সুজন,জিকু, শাহিন, পুলক দাস প্রমুখ।