• ধর্ম

    কুরআনের আযমত (মহাত্ম্য) ও পাঠ করার ফযিলত-মুফতী আঃ কাদের কারিমী

      প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২২ , ৬:১৯:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:

    বর্তমানে চলমান রয়েছে পবিত্র মাহে রমাযান।এ মাস কুরআনের মাস।এ মাসেই নাযিল হয়েছিল বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন ; রমযান মাস হলো সে মাস যাতে নাযিল করা হয়েছে আল কুরআন । (সূরা বাকারা;১৮৫) উক্ত আয়াতে রমযানের গুরুত্ব ও মহাত্ম্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, রমযানের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ হলো, এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে। যেহেতু নুযূলে কুরআনের সাথে রমযানের সম্পর্ক রয়েছে তাই রমজানের এত ফজিলত। সুতারং এর দ্বারা বুঝা যায় যে, যার সাথে কুরআনের সম্পর্ক যত বেশি হবে, তার মর্তবা ও মর্যাদা তত বেশি হবে। চাই সে ফেরেশতা হোক,নবী-রাসূল হোক বা কোন স্থান হোক বা কোন সময় হোক অথবা কোন ব্যক্তি হোক, কোন বস্তু হোক, যাই হোক না কেন, কুরআনের সাথে যার যতবেশি সম্পর্ক হবে তার মর্যাদা ততবেশি বৃদ্ধি পাবে।

    ফেরেশতার সাথে সম্পর্ক হওয়ায় ফেরেশতা জিবরাইল আমীন সমস্ত ফেরেশতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী হয়েছে। নবীর সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ায় নবী মোহাম্মদ সাঃ সমস্ত নবী রাসুলগনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছেন। শহরের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ায় সে শহর মক্কা -মদীনা পৃথিবীর সমস্ত শহর থেকে শ্রেষ্ঠ শহর হয়েছে। (যার কারণে এ শহর দুটির নাম নেওয়ার সময় অত্যন্ত সম্মানের সাথে বলা হয়, মক্কাতুল মোকাররমাহ ও আল মদিনাতুল মুনাওয়ারা। মাসের সাথে সম্পর্ক হওয়ায় সে মাস বারমাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাস হয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তির সঙ্গে এ কুরআনের সম্পর্ক হবে, যে এ কুরআন মুখস্থ করবে, এর তেলাওয়াত করবে, এর বিধি -বিধান মোতাবেক আমল করবে, কিয়ামতের ময়দানে তার মর্যাদা ও সকলের উপরে হবে।

    রাসুল সাঃ ইরশাদ করেনঃ কেয়ামতের দিন কুরআনের হাফেযকে বলা হবে, পড়তে থাকো এবং চড়তে থাকো। তারতীল সহকারে যেমন তুমি দুনিয়ায় পড়তে। জান্নাতে তোমার অবস্থান সেখানে হবে, যেখানে তোমার পড়া শেষ হবে (আবুদাঊদ) কুরআন শব্দের অর্থ হচ্ছে পড়া।৷ অর্থাৎ কুরআন নাযিল করা হয়েছে পড়ার জন্য আর মানার জন্য। অতএব, আমাদের কাজ হলো কুরআন পড়া এবং দৈনন্দিন জীবনে তা মানার চেষ্টা করা।সমাজে অনেকের একটা ভূল ধারণা রয়েছে যে,কুরআন না বুঝে পড়লে কোন লাভ নাই। অতচ আল্লাহর হাবীব মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
    যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করলো,

    সে একটি নেকী লাভ করলো এবং একটি নেকী দশটি নেকীর সমতুল্য হবে। হুযুর সাঃ আরও বলেনঃ আমি এটা বলি না যে, আলিফ, লাম, মিম একটি হরফ বরং আলিফ একটি হরফ লাম একটি হরফ মিম একটি হরফ। অর্থাৎ আলিফ,লাম,মিম তিনটি হরফের সমন্বয়ে একটি শব্দ। এই একটি মাত্র শব্দ পাঠ করলে ত্রিশটি নেকী পাওয়া যাবে। আর রমযানে প্রত্যেক একে সত্তর। সে হিসাবে মাহে রমযানে কুরআনের একটি হরফ পাঠ করলে সাতশ নেকী পাওয়া যাবে। ( সুবহানাল্লাহ)

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ