• Uncategorized

    কাঁচাবাজারে আগুন অপর দিকে কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরী

      প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:০৭:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    নাহিদ সুমন জীবননগর চুয়াডাঙ্গা:

    একদিকে করোনার প্রভাবে কর্মহীন মানুষ অন্যদিকে বন্যায় সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। সবজি কেনা এখন দুরহ ব্যাপার। তাই ডাল আর ডিমের ওপরই ভরাসা প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়া পরিবার গুলোর।

    বন্যা শুরুর পর থেকেই সবজির বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কিন্তু গেল দু’সপ্তাহ ধরে সবজির দাম লাগামহীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি দুই থেকে চারগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    খুচরা বাজারে কাচাঁমরিচের দাম ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিক্রি হচ্ছে। বছর জুড়ে সবচেয়ে আলোচিত পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম হলেও দিন দিন আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে।

    রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজিতে। পটল, বেগুন,করল্লা এবং মূলার কাছে যাওয়ার মতো সাহস দেখাচ্ছেনা সীমিত আয়ের মানুষ। এই সবজিগুলোর দাম এর আগে এত দামে বিক্রি হতে খুবই কম দেখেছে সাধারণ ক্রেতারা। তবে তুলনা মূলকভাবে বাজারে স্বাভাবিক আছে সবধরনের মাছের দাম।

    বর্তমানে যে পরিমাণ আয় হচ্ছে তাতে করে মনভরে বাজার করার কোন উপায় নাই। আগে প্রতি সপ্তাহের জন্য ৫০০ গ্রাম কাঁচামরিচ ২০-৩০ টাকায় কিনলেও এখন ২৫০ গ্রাম কিনতে হচ্ছে ৪০- ৪৫ টাকায়। অন্যান্য সবজির দাম দেখে দাম দর করার সাহস হচ্ছে না।

    আগে যে সবজি ১কেজি করে কিনতাম এখন তা ২৫০ গ্রাম করে কিনছি তাও আগের থেকে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। করোনার কারণে চাহিদা বেশি থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের কাঁচা পাকা ফলমূল।

    পাশাপাশি সবজির বাজারসহ যাতায়াতের জন্যও খরচ করতে হচ্ছে আগের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা। এমন চলতে থাকলে করোনাকালের চেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়তে হবে ক্রেতা সাধারণকে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ